শাহজালালে ২-৩ জায়গায় যাত্রীদের হয়রানি করা হয়: সালমান এফ রহমান

সালমান এফ রহমান। স্টার ফাইল ফটো

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের দুই-তিনটি জায়গায় হয়রানি হতে হয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

সোমবার আকস্মিক বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি শাহজালালে যাত্রীসেবার মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ সময় সালমান এফ রহমান বলেন, 'শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বিমানবন্দর পরিদর্শনে পাঠিয়েছেন। আমরা যেটা দেখেছি, ২-৩টা জায়গায় হয়রানি হয়।'

তিনি বলেন, 'আমি ওভারঅল স্যাটিসফায়েড নই। আমি যা দেখেছি, এখানে পরিস্থিতি উন্নত করার অনেক সুযোগ আছে। সেগুলোর কথা আমি সংশ্লিষ্টদের বলে দিয়েছি। মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন, তাদের মন-মানসিকতা বদলাতে হবে।'

তিনি বলেন, 'সরকার খুব সিরিয়াসলি বিষয়টি নিয়েছে। আজকের পরিদর্শনের পরও যদি আমরা দেখি যে অভিযোগের হার কমছে না, কন্টিনিউ করছে, তাহলে আমরা আরও কঠিন ব্যবস্থায় যাব। প্রক্রিয়াটা আমরা আজকে শুরু করেছি।'

কাস্টমসে যাত্রীদের হয়রানি প্রসঙ্গে সালমান এফ রহমান বলেন, 'যাত্রীরা নিয়ম অনুযায়ী স্বর্ণ আনছে দেশে। তবে শুল্কযোগ্য পণ্যের টাকা পরিশোধের জন্য ব্যাংকের অবস্থান কাস্টমস থেকে একটু দূরে হওয়ায় যাত্রীদের অসুবিধা হয়। এ জন্য কাস্টমস জোনে ব্যাংকের বুথ বসাতে বলেছি।'

তিনি বলেন, 'আরেকটা অভিযোগ শুনেছিলাম ইমিগ্রেশনে হয়রানি হয়। অনেকে বলেছেন যে ইমিগ্রেশন পার হতে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়, অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করা হয়। এসব হয়রানির অভিযোগ জানাতে যাত্রীদের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করছে পুলিশ।'

'বিমানবন্দরে দেশের ইমেজটা ফুটে ওঠে। বিমানবন্দরের অভিজ্ঞতা যদি খারাপ থাকে, তাহলে শুরুতেই দেশ সম্পর্কে একটা খারাপ অভিজ্ঞতা হয়। এটা যেন না হয়, বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে,' যোগ করেন তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (নিরাপত্তা) গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সালেহ মাহমুদ মান্নাফী, শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

IMF loan tranches: Agreement with IMF at last

The government has reached a staff-level agreement with the International Monetary Fund for the fourth and fifth tranche of the $4.7 billion loan programme, putting to bed months of uncertainty over their disbursement.

10h ago