ভোজ্য তেল সংকট: ৮ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা কমিশনের মামলা
উৎপাদন ও সরবরাহের পাশাপাশি সেবা সীমিতকরণ বা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে দেশের ভোজ্যতেল আমদানিকারক ৮ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন।
গতকাল বুধবার প্রতিযোগিতামূলক বাজার নিশ্চিতে স্বাধীন অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ মামলা দায়ের করে।
এরমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে নোটিশও পাঠানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড (তীর), বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড (রূপচাঁদা), মেঘনা ও ইউনাইটেড এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড (ফ্রেশ), বসুন্ধরা অয়েল রিফাইনারি মিল (বসুন্ধরা), শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (পুষ্টি), এস আলম সুপার এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (এস আলম), প্রাইম এডিবল অয়েল লিমিটেড (প্রাইম) ও গ্লোব এডিবল অয়েল লিমিটেড (রয়্যাল শেফ)।
কমিশনের একজন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আইনে স্বপ্রনোদিত হয়ে মামলা করার এখতিয়ার কমিশনের আছে। প্রাথমিক তদন্তে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে যেসব অসামঞ্জস্য পাওয়া গেছে, সেগুলোর বিষয়ে শুনানি হবে।'
কমিশনের নিজস্ব অনুসন্ধান দল বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষেণ করে ওই ৮ কোম্পানির বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
ওই কর্মকর্তা বলেন, 'কমিশনের অনুসন্ধান দলের প্রতিবেদন ও অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনা করে গত ১০ মে কমিশনের সভায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ১৮ ও ১৯ মে কমিশনে মামলাগুলোর শুনানি হবে।'
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের অর্থ ও হিসাববিভাগের প্রধান মোহাম্মদ দবিরুল ইসলাম দিদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শুনানির দিনে কমিশনে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরব। বর্তমানে বাজারে তেল সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করছি।'
Comments