সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৯ নির্দেশনা
হজ ফ্লাইটে কোনোভাবেই সাধারণ যাত্রী পরিবহন করা যাবে না এবং হজ ফ্লাইট নিয়ে কোনো বিপর্যয় যেন না ঘটে সে বিষয়ে বিমানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
গত ১৭ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোকে এগুলোসহ মোট ৯ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, হজযাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সব এয়ারলাইনসকে 'রুট-টু-মক্কা ইনিসিয়েটিভ' এর বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করতে হবে। হজ ক্যাম্পেই সবার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বুথ স্থাপন করতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ২টি বুথ স্থাপন করতে হবে। সুষ্ঠুভাবে ইমিগ্রেসন সম্পন্ন করার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়কে হজ যাত্রীদের প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্যাদি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে অগ্রিম সরবরাহ করতে হবে।
এ ছাড়াও এতে বলা হয়েছে, হজ যাত্রীদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল নির্ধারণসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। হজ যাত্রীদের কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ সংক্রান্ত 'সুরক্ষা অ্যাপ'-এ রক্ষিত তথ্য প্রাপ্তি হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সহজলভ্য করার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
হজযাত্রীদের যেন কোনো কষ্ট না হয় সে লক্ষ্যে হজ ক্যাম্পে সব সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সার্বক্ষণিক সেবাদান কার্যক্রম নিশ্চিত করবে। এয়ারপোর্ট থেকে হজ ক্যাম্প পর্যন্ত যাতায়াতের রাস্তা সচল ও বাধাহীন রাখতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী চলতি বছর হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ৩১ মে থেকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, 'হজযাত্রী পরিবহনে আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রাখার নির্দেশনা পেয়েছি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করি হজ ফ্লাইট নিয়ে কোনো বিপর্যয় হবে না।'
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে এর আগে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় ও নির্বাহী কমিটি গঠন করে সরকার।
২৪ সদস্য বিশিষ্ট হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী এবং সদস্য সচিব ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের প্রধান।
এ ছাড়া ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভাপতি করা হয়েছে।
Comments