ঢাবি ছাত্রদলের ওপর হামলার অভিযোগ, অস্বীকার ছাত্রলীগের

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। ছবি: প্রথম আলোর সৌজন্যে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অতর্কিত আমাদের ওপর হামলা করে। হামলায় আমাদের প্রায় ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর।'

আহত নেতা-কর্মীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা ঢাবি সাংবাদিক সমিতির অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন। ছাত্রদলের অভিযোগ, এ সময় জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হাতে রড, হকিস্টিক, লাঠি ছিল বলেও জানান তারা।

তবে, হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।

ঢাবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাজাকারদের তল্পিবাহক এবং সন্ত্রাসের ডিস্ট্রিবিউটর এই দলটি সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সন্ত্রাসবাদী সহিংস কার্যক্রম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশের রাজনীতি কায়েম করা।'

ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা করেনি। ছাত্রদল সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম চালালেও আমরা সব সময়ই শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কার্যক্রমের প্রতিবাদ করে আসছি।'

আজ সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মিছিল, বাইক মহড়াসহ নানা ধরনের কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা গেছে।

এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, 'ছাত্রদলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে।'

এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রাব্বানি বলেন, 'ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমরা অবহিত করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago