দুই হাজারি ক্লাবে ঢুকে অনেক কীর্তি লিটনের

গত বছর থেকেই বদলে যেতে শুরু করেন লিটন দাস। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে এখন আস্থার সবচেয়ে বড় নামই লিটন। এদিন পৌঁছে গেলেন অনন্য এক মাইলফলকে। দেশের অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টের দুই হাজারি ক্লাবে ঢুকলেন তিনি। একই সঙ্গে আরও অনেক কীর্তি গড়েছেন বাংলাদেশের রান মেশিন বনে যাওয়া এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

গত বছর থেকেই বদলে যেতে শুরু করেন লিটন দাস। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে এখন আস্থার সবচেয়ে বড় নামই লিটন। এদিন পৌঁছে গেলেন অনন্য এক মাইলফলকে। দেশের অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টের দুই হাজারি ক্লাবে ঢুকলেন তিনি। একই সঙ্গে আরও অনেক কীর্তি গড়েছেন বাংলাদেশের রান মেশিন বনে যাওয়া এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। 

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের শেষ দিনে লিটনের ব্যাটেই ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। লাঞ্চের আগ পর্যন্ত ৪৮ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। এ ইনিংসের মাঝেই পৌঁছে যান দুই হাজারি ক্লাবে। প্রাভিন জয়াবিক্রমের বল কাভারে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে এ ক্লাবে যোগ দেন তিনি।

দুই হাজার রান পূরণ করতে ৫৬ ইনিংস খেলতে হয় লিটনকে। এ ক্লাবে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে দ্রুততম অধিনায়ক মুমিনুল হক। ৪৭ ইনিংসে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। ওপেনার তামিম ইকবালের লেগেছিল ৫৩ ইনিংস।

একই দিনে নিজের ক্যারিয়ারে এক টেস্টে সর্বোচ্চ রানও সংগ্রহ করেছেন লিটন। দ্বিতীয় ইনিংসে লাঞ্চের আগ পর্যন্ত তিনি খেলেছেন ৪৮ রানের ইনিংস। আর প্রথম ইনিংসে করেন ১৪১ রান। মোট ১৮৯ রান আসে মিরপুর টেস্টে। এর আগে চট্টগ্রামে গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১৭৩ (১১৪ ও ৫৯) রান।

তবে সাম্প্রতিক সময়ের মতো যদি খেলতে পারতেন তাহলে এ মাইলফলক অনেক আগেই করতে পারতেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ২০২১ সাল থেকে মাত্র ১৩ টেস্টের ২২ ইনিংস খেলেই করেছেন ১১৪৮ রান। ৩টি সেঞ্চুরি ও ৭টি ফিফটিতে তার গড় ৫৪.৬৬। এ আগে ২০ টেস্টে ৩৪ ইনিংস খেলে মাত্র ২৬.০৩ গড়ে ৮৫৯ রান করেছিলেন তিনি।

২০২১ সালে থেকে এই সময়ে খেলার ক্রিকেটারদের মধ্যে পুরো বিশ্বে লিটনের চেয়ে বেশি রান করেছেন কেবল দুই ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডের জো রুট ও শ্রীলঙ্কার দিমুথ করুনারাত্নে। রুট এ সময়ে খেলেছেন ২০ টেস্ট। ৩৯ ইনিংসে তার ৬০.৪৫ গড়ে তার সংগ্রহ ২০৬৬ রান। আর ২০ ইনিংসে ৫৪.৩৬ গড়ে ১২০৯ রান করেন করুনারাত্নে।

Comments

The Daily Star  | English
pharmaceutical industry of Bangladesh

Starting from nowhere, pharma sector becomes a lifesaver

The year 1982 was a watershed in the history of the pharmaceutical industry of Bangladesh as the government stepped in to lay the foundation for its stellar growth in the subsequent decades.

18h ago