একমাত্র এক্স-রে মেশিন ১৬ বছর ধরে বিকল

চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিকল এক্স-রে মেশিন। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি প্রায় ১৬ বছর ধরে অচল পড়ে আছে। এতে রোগীরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

অচল মেশিনটি সচল করতে নেওয়া হয়েছিল সরকারি বরাদ্দ। তাতেও কোনো কাজ হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ মেশিনটির মেরামত খরচ দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছে। বর্তমানে এক্স-রে কক্ষটি স্টোর রুম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানায়, ২০০৫ সালে ৩০০ এমএ এক্স-রে মেশিনটি চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্ত করা হয়। কয়েকদিন পর তা অচল হয়ে যায়।

এক্স-রে মেশিন ব্যবহার করতে একজন টেকনিশিয়ানও যোগ দেন। তারপরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মেশিনটি সচল করতে উদ্যোগ নেয়নি। এটি মেরামতের জন্য ২ দফায় সরকারি বরাদ্দ আসে আড়াই লাখ টাকা।

তবে মেশিনটি মেরামত না করে শুধু কাগজে-কলমে মেরামত দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় বাসিন্দা নজর আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও এক্স-রে মেশিনের অভাবে রোগীদের বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে এক্স-রে করতে হচ্ছে। এক্স-রে মেশিনের অভাবে রোগীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।'

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল খালেক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এক্স-রে পরীক্ষার প্রয়োজন হলে হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা তাদের পছন্দের ক্লিনিকে গিয়ে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন নষ্ট অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে।'

এক্স-রে মেশিনটি দ্রুত মেরামত করে সচল করার দাবি জানান তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডা. আমিনুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এক্স-রে মেশিনটি প্রায় ১৬ বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। এটি মেরামত করতে আগে কী পরিমাণ সরকারি বরাদ্দ এসেছিল তা জানা নেই। এ ব্যাপারে বেশ কয়েক দফা স্বাস্থ্যের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করা হলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।'

'এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট হয়ে দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত পড়ে থাকায় সমস্যার হচ্ছে,' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'মেশিনটি সচল রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

9h ago