ওমর সানী বললেন মৌসুমীর কাছে স্ক্রিনশট আছে, জায়েদ বললেন সানী ভাই মদ্যপ ছিলেন

ওমর সানী ও জায়েদ খান। স্টার ফাইল ছবি

অভিনেতা জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, গত শুক্রবার চিত্রনায়ক ওমর সানীকে তিনি পিস্তল বের করে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন। অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জায়েদ খান এ হুমকি দেন বলে ওমর সানীর অভিযোগ। একইসঙ্গে ওমর সানীর স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহারেরও অভিযোগ উঠেছে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ নিয়ে জানতে আজ রোববার দুপুরে জায়েদ খান ও ওমর সানীর সঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদকের কথা হয়।

জায়েদ খান বলেন, 'আমার সম্মানহানী করতে এমন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। শিল্পী সমিতির রায়ের আগে বারবার আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পিস্তল নিয়ে কনভেনশন সেন্টারে প্রবেশের সুযোগ নেই। এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমি, রোজিনা আপা ও অঞ্জনা আপা এক টেবিলে বসেছিলাম। দেখলাম সানি ভাই ঢুকলেন। সানী ভাইকে আমার অস্বাভাবিক মদ্যপ মনে হচ্ছিল। ডিপজল ভাইয়ের সঙ্গে তিনি ৫ মিনিট কথা বলেন তারপর না খেয়ে চলে গেলেন। আমি আর কিছু জানি না। তারপর বিয়ের অনুষ্ঠানের একদিন পার হয়ে গেছে। অথচ এখন জনে জনে ফোন করে সানী ভাই বলে বেড়াচ্ছেন, 'আমাকে তিনি চড় মেরেছেন, আর আমি নাকি রাগে পিস্তল বের করেছি।''

তিনি আরও বলেন, 'যদি আমি মৌসুমী ম্যাডামকে খারাপ কিছু বলে থাকি সেটা তিনি সবাইকে বলুক। তার তো অনেক সাংবাদিকের সঙ্গে পরিচয় আছে। তার নিজের ভাষ্য আছে তো। কিন্তু, আরেকজন কেন এসব কথা বলে বেড়াচ্ছেন। মৌসুমী ম্যাডামকে অসম্মান করে খারাপ কথা বলার সাহস দুঃসাহস আমার নেই। প্রমাণ থাকলে সেটা দেখাক তারা। শিল্পী সমিতির সম্মানিত একজন তিনি। কেন তাকে খারাপ কথা বলব।'

একই বিষয়ে ওমর সানী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বেশ কিছুদিন ধরে জায়েদ খান মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন। আমি ও আমার ছেলে এই বিষয়ে তাকে সাবধান করেছি। তিনি হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ডিস্টার্ব করত। তার স্ক্রিনশট আমার কাছে আছে। তার কত বড় সাহস যে, আমার স্ত্রী লাল না নীল রঙের শাড়ি পড়ে আছে তা জিজ্ঞাসা করেন। মিডিয়ার আরও অনেক মেয়ের সঙ্গে তিনি (জায়েদ খান) এমন করেন। এ কারণে ডিপজল মামার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে রাত ৯টায় উপস্থিত হয়ে চড় মারি ও কিছুটা খারাপ ব্যবহার করে ফেলি। খারাপ শব্দ উচ্চারণের জন্য আমি দুঃখিত। অনেক দিন থেকে তাকে পাচ্ছিলাম না তাই ওই অনুষ্ঠানে চড় মেরেছি। সম্মান হারানোর ভয়ে অনেকেই তাকে কিছু বলে না, তাই আমিও শুরু করলাম।'

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance rises 30% in July

Migrants sent home $2.47 billion in the first month of the current fiscal year

5h ago