ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ: ৭ দিন বন্ধ চুয়েট, ২২ দিন নয়

চুয়েটে ‍পুলিশ তৎপরতা বেড়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রলীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী ৭ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিন্ডিকেট বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিকেলে সিন্ডিকেট সভায় আগামী ২১ জুন পর্যন্ত হল, ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধের নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ জুন থেকে সব রুটিন অনুসারে চলবে।

রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, চুয়েট ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যেন নতুন করে আর কেউ সংঘাতে জড়াতে না পারে। এ ছাড়াও, শিক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে পারেন সে বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।

এ ঘটনায় কোনো মামলা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।'

এর আগে আজ সকাল ১৪ জুন থেকে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। চুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছিল।

সকালের বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদের আজ বিকেল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চলমান সব একাডেমিক কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে।

সূত্র জানায়, সোমবার রাতে প্রায় ৫০ জনের একটি দল হেলমেট পরে লাঠি, চাপাতি নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দেয়।

চুয়েট ছাত্রলীগ একটি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা শনিবার রাতে চট্টগ্রামে একটি কর্মসূচিতে অংশ নেন। অনুষ্ঠান শেষ হতে দেরি হওয়ায় তারা চুয়েটের বাস চালককে নির্ধারিত সময় রাত ৯টা থেকে ৩০ মিনিট দেরিতে বাস ছাড়তে বলেন। তবে ছাত্রলীগের অপর একটি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা দেরিতে বাস ছাড়ার বিরোধিতা করেন।

বাস ছাড়ার ঘটনা নিয়ে ২ গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে পরিণত হয়। দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা শনিবার রাতে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে জড়ো হন। তারা হলে গিয়ে একে অপরের রুমের তালা ভেঙে প্রবেশ করে বিছানা ও জিনিসপত্র ফেলে দেয়।

Comments

The Daily Star  | English
narcotics cases pending despite deadline

4.8 lakh narcotics cases pending despite deadline

Judge shortage, lack of witnesses, inadequate court infrastructure blamed for delays

7h ago