জাবিতে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

জাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: শেখ তাজুল ইসলাম তাজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন ও অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের পরিবর্তে একাডেমিক ভবন নির্মাণ করাসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন ঘুরে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়।

প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিলে অংশ নেন।

বিক্ষোভ মিছিলের পর বক্তারা বর্তমান লাইব্রেরি ভবন না ভেঙে নতুন লাইব্রেরি নির্মাণ, শিক্ষকদের ঝুঁকিপূর্ণ আবাসিক ভবন ভেঙে সেখানে তাদের বেতন কাঠামোর সঙ্গে মানানসই নতুন ভবন নির্মাণ এবং প্রকল্পের ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও মান নিশ্চিতে তদারক কমিটি গঠনের দাবি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র আন্দোলনের সহসাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দে বলেন, 'আমাদের বুকের গণজাগরণের স্ফুলিঙ্গ এখনো নিভে যায়নি। উপাচার্যকে হুশিয়ারি বার্তা দিতে চাই যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আরেকজন ফারজানা ইসলাম চায় না। একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন জরুরি।'

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন , 'বিদ্যমান নতুন প্রশাসনিক ভবনটি পূর্ণাঙ্গ নয়। আগে এটি পূর্ণাঙ্গ করতে হবে।  মিথ্যাচার করে ডিপিপিতে মাত্র একটি প্রশাসনিক ভবনের কথা উল্লেখ করে তৃতীয় প্রশাসনিক ভবনের জন্য ১৩৭ কোটি টাকা নতুন করে অপচয়ের পায়তারা ভালো হবে না। সকল অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে নতুন মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করতে আমরা বারবার বলেছি। আমরা অনুরোধ করবো শিক্ষার্থীদের মতামতের প্রাধান্য দিন। লাইব্রেরি ভবন করেন, কিন্তু এটি ভেঙে নয়। ২টি লাইব্রেরি থাকলে সমস্যা থাকার কথা নয়। এতো ভাঙা-গড়ায় আগ্রহ কেন প্রশাসনের?'

বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, 'জুজুর ভয় আমাদের আর দেখাবেন না৷ প্রকল্পের টাকাটা আমাদের যতটুকু দরকার ততটুকু খরচ করবো। অপচয় করার তো প্রশ্নই আসে না। অপচয় না করে উদ্বৃত্ত জনগণের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দেন। ব্যক্তিগত উন্নয়ন না করে পরিকল্পনার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মঙ্গলজনক কাজ করেন।'

Comments