কেক কেটে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে সামিল সাকিব-তামিমরা

Bangladesh cricket team
কেক কেটে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে সাকিব-তামিমরা। ছবি-বিসিবি

ঢাকা থেকে প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরেও আঁচ লেগেছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের। সেন্ট লুসিয়ায় থাকা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মুহূর্ত কেক কেটে উদযাপন করেছে। টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

রোববার সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। তারপর প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল পরিশোধ করে তার গাড়ি বহর প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু পার হয়। পরে জাজিরা প্রান্তেও ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

সেন্ট লুসিয়ায় তখন একসঙ্গে জড়ো হয়ে বিশাল আকৃতির কেক কাড়ে বাংলাদেশ দল। কেকে ছিল প্রধানমন্ত্রী ও পদ্মা সেতুর ছবি।

পরে ভিডিও বার্তায় সাকিব বলেন বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিবে পদ্মা সেতু,  'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের পক্ষ থেকে। কারণ আমার কাছে মনে হয় দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় অবদান। বাঙালি জাতির একটা স্বপ্ন ছিল যেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কারণে পূরণ হয়েছে। আশা করছি এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।'

ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমের মতে এটি বাংলাদেশের বিশাল অর্জন। প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিটা শ্রমিককে ধন্যবাদ জানিয়েছে, 'আমার মনে হয় বাংলাদেশের জন্য এটা বিশাল বড় অর্জন। একটা সময় এমন ছিল যখন নিশ্চিত ছিলাম না যে পদ্মা সেতু হবে কি হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক ডেডিকেশনের কারণে, উনার চেষ্টার কারণে আজকে আমরা পদ্মা সেতু পেয়েছি। এই সেতু নির্মাণে যারাই যুক্ত ছিলেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। বিশেষ করে শ্রমিক যারা কাজ করেছেন। তাদেরকে একটা জিনিসই বলতে চাই আপনারা যা করেছেন তা বাঙালি জাতি আজীবন মনে রাখবে। আমার আর বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ'

৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পদ্মা সেতু বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন স্থাপনাগুলোর একটি। পদ্মার মতো এমন খরস্রোতা ও গভীর নদীতে সেতুর ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম।

Comments

The Daily Star  | English

Trump says no summit deal reached with Putin over ending war in Ukraine

The anticlimactic end to the closely watched summit was in stark contrast to the pomp and circumstance with which it began

45m ago