বড়লেখার গ্রামে গ্রামে ডাকাত আতঙ্ক, রাত জেগে পাহারা

বন্যায় প্লাবিত তালিমপুর ইউনিয়নের একটি বাজার। ছবিটি শনিবার তোলা। ছবি: সংগৃহীত

বন্যাকবলিত মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দারা পাড়া-মহল্লায় পাহারা বসিয়েছেন। বাসিন্দাদের সতর্ক করতে বিভিন্ন জায়গায় মাইকিংও করা হচ্ছে।

বড়লেখা উপজেলার হাকালুকি হাওর সংলগ্ন তালিমপুর ইউনিয়নের হাল্লা, খুটাউরা, মুর্শিবাদকুরা, বড়ময়দান, কলারতলী, চুলারকুড়ি, পূর্বগগড়া, দ্বিতীয়ারদেহী, পশ্চিম গগড়া, পাবিজুরি, নুনুয়া ও শ্রীরামপুর এবং সুজানগর ইউনিয়নের পাটনা, কটালপুর ও বটতল গ্রামের বাসিন্দারা এখনো পানিবন্দি। গত কয়েকদিন ধরে গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ নেই। এ অবস্থায় ডাকাত আতঙ্ক এখানকার মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

এ ব্যাপারে পশ্চিম গগড়া গ্রামের বাসিন্দা রিপন দাস জানান, 'বন্যায় এমনিতে আমরা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছি। তার ওপর ডাকাত পড়েছে জানিয়ে বিভিন্ন এলাকার মসজিদ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এতে সবার মনে নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।'

হাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মৃণাল কান্তি দাস এই প্রতিবেদককে বলেন, 'কয়েকদিন ধরে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। কেউ মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে পারছে না। টর্চ লাইটের চার্জও শেষ। এমন অন্ধকার ও বিচ্ছিন্ন অবস্থার মধ্যে ডাকাত আসবে না- এ কথা বিশ্বাস করাই কঠিন।'

এই শিক্ষকের ভাষ্য, দিনের বেলা সম্ভব না হলেও অন্তত রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া উচিত। এটা সম্ভব না হলেও দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে মানুষ অন্তত মোবাইল ফোন ও টর্চলাইট চার্জ করতে পারবে। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি আসবে।'

গত শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে তালিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শ্রীরামপুর গ্রামে ডাকাত পড়ার কথা জানিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

তালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাসও জানান, ডাকাতি প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকার মানুষ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, 'শুক্রবার রাতে শ্রীরামপুর, পশ্চিম গগড়া ও পাটনা এলাকায় ডাকাত পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের মনে ডাকাতির ভয়টা আরও বেশি পোক্ত হয়েছে।'

গতকাল শনিবার রাতে তালিমপুর ইউনিয়নে টহলে থাকা পুলিশের উপপরিদর্শক আতাউর রহমানের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন,  'আমরা তালিমপুরে টহল দিচ্ছি। পুলিশ সতর্ক আছে।'

একই সময়ে সুজানগর ইউনিয়নে টহলে থাকা উপপরিদর্শক আব্দুল হালিম বলেন, 'ভয়ের কারণ নেই। ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড মেম্বারদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারাও জেগে আছেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Exports under strain as India slaps more restrictions

Industry insiders say the new restrictions could deepen Bangladesh's export woes at a time when global demand remains fragile and other sectors—from garments to processed foods—also face trade hurdles

22m ago