বাগান থেকে চা পাতা চুরির মামলায় জিএমসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড

চা-বাগান। ছবি: স্টার ফাইল ছবি

প্রায় ১০ বছর আগের ১৪ হাজার কেজি চা পাতা চুরির ঘটনায় করা দুটি মামলায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার লুয়াইউনি-হলিছড়া চা বাগানের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম)-সহ ৬ জনকে ৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

আজ মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুমিননেছা এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, লুয়াইউনি-হলিছড়া চা বাগানের তৎকালীন জিএম শফিকুল ইসলাম, সহকারী ম্যানেজার মেহেদী হাসান ও কোহিনূর আলম, ফ্যাক্টরি হেড ক্লার্ক আব্দুল হক। এ ছাড়া চোরাই চা পাতা কেনার জন্য শ্রীমঙ্গলের আজিজ খান এবং সেটা বহনের জন্য শায়েস্তাগঞ্জের আক্কেল আলীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায়ে চা পাতা সংরক্ষণকারী চট্টগ্রামের মনিরুজ্জামান মিন্টু মিয়াকে খালাস দেন বিচারক।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট হা-মীম গ্রুপের পরিচালনাধীন লুয়াইউনি-হলিছড়া চা বাগানের হাজীনগর ফ্যাক্টরি থেকে এক ট্রাক ও বাগানের গুদাম থেকে ২৬ আগস্ট আরও এক ট্রাক চা পাতা চুরি হয়। ২ ট্রাকে চা পাতার পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার কেজি। 

বাগান মালিকের পক্ষে সুদীপ চক্রবর্তী ও রেজাউল করিম বাদী হয়ে মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৭ জনকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করেন। 
পরে পুলিশের অভিযানে মনিরুজ্জামান মিন্টুর বাসা থেকে ১১ হাজার কেজি চা পাতা ও ফ্যাক্টরির হেড ক্লার্ক আব্দুল হকের বাড়ি থেকে পাতা বিক্রির নগদ দেড় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

পক্ষে-বিপক্ষে দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার ২ মামলার রায় দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় ৭ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজাপ্রাপ্ত ৬ জনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। 

আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জয়নুল হক, ইকবাল হোসেন, সঞ্জিত পাল ও গোবিন্দ মোহন পাল।

বাদীপক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '২ মামলার ৭ আসামির মধ্যে ৬ জনের প্রত্যেককে একেক মামলায় ২ বছর করে ৪ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। আসামি মনিরুজ্জামান মিন্টুকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago