মাগুরায় পুলিশ হেফাজতে কৃষকের মৃত্যু

পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় মাগুরার শ্রীপুরে সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে আগুন দেন স্থানীয় লোকজন। ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় পুলিশের হেফাজতে আব্দুস সালাম (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের মারধরে তিনি মারা গেছেন।

আব্দুস সালামের বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার রায় নগর গ্রামে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন। এ ছাড়া স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে একটি টিকিট কাউন্টারেও কাজ করতেন।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, শনিবার বিকেল ৫টার দিকে শ্রীপুরের নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জামাল ওয়াপদা মোড়ে এসে সালামের বুকে লাথি মারেন। অতর্কিত লাথিতে তিনি পড়ে যান। ওই অবস্থায় এসআই জামাল তাকে মারধর করতে করতে নাকোল পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতেও সালামকে মারধর করা হয়।

পরে ফাঁড়ি থেকে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় ওয়াপদা এলাকায় পুলিশের গাড়ি আটকে সালামকে দেখতে চান এলাকাবাসী। তখনই দেখা যায় সালাম মারা গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী আলীয়ার রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এসআই জামাল অনেক লোকের সামনে আব্দুস সালামের বুকে লাথি মেরে ফেলে দেন। তাকে ওই অবস্থায় ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে বেদম মারপিট করা হয়। ফাঁড়িতেই মারা যান সালাম। চিকিৎসার কথা বলে তাকে মাগুরা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আমরা গাড়ি আটকে দেখি তিনি আগেই মারা গেছেন।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জামালের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম জানান, পুলিশের মারধরের কারণে সালাম মারা যাননি। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মারা যান। তবে এলাকাবাসী বলছে, পুলিশের মারধরে মারা গেছেন।

তিনি আরও বলেন, আগামীকাল ময়নাতদন্ত করলে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।

মাগুরা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. বিকাশ কুমার শিকদার বলেন, সুরত হাল রিপোর্ট ছাড়া এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। নিহত ব্যক্তির গায়ে কোনো দাগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলতে রাজি হননি।

Comments

The Daily Star  | English

AL govt’s secret surveillance state

From snooping devices carried in backpacks to locate people through their phones to a massive infrastructure that can intercept even end-to-end encryption from a central command centre, the Awami League government had been on an increasingly aggressive trajectory towards building a powerful surveillance state. 

12h ago