শিরশ্ছেদে শীর্ষ আবদুল্লাহ আল-বিশি

এক কোপে ধড় থেকে মাথাটা বিচ্ছিন্ন করা এত সহজ কাজ নয়। এ জন্য দক্ষ হাতে, সঠিক স্থানে, সঠিক পরিবেশে, সঠিক ব্যক্তির গর্দানের সঠিক জায়গায়, নির্দিষ্ট ধারের তরবারির সঠিক ভারের কোপটি পড়তে হবে। এই কাজে এতগুলো 'সঠিক' বিষয় আয়ত্তে এনে পেশাদার শিল্পীর মতোই কোপটি দিতে হয়।
আবদুল্লাহ আল-বিশি। ছবি: সংগৃহীত

এক কোপে ধড় থেকে মাথাটা বিচ্ছিন্ন করা এত সহজ কাজ নয়। এ জন্য দক্ষ হাতে, সঠিক স্থানে, সঠিক পরিবেশে, সঠিক ব্যক্তির গর্দানের সঠিক জায়গায়, নির্দিষ্ট ধারের তরবারির সঠিক ভারের কোপটি পড়তে হবে। এই কাজে এতগুলো 'সঠিক' বিষয় আয়ত্তে এনে পেশাদার শিল্পীর মতোই কোপটি দিতে হয়।

মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত মানুষটিকে তার জন্য নির্ধারিত বধ্যভূমিতে আনা হলো, ধরা যাক তখন বাতাস বইছে—কোপটি কি বাতাসের অনুকূলে হবে না প্রতিকূলে, উন্মুক্ত বধ্যভূমিতে দর্শকের সমারোহ কেমন হবে, তখনকার পরিবেশ কি উল্লসিত না বেদনার্ত জল্লাদের বিচলিত হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটবে; তরবারির ওজন কতো, কতোটা ধারাল, জল্লাদ তার কাজটি কতোটা ভালোবাসে—একসঙ্গে অনেকগুলো বিষয় সমন্বিত হয় জল্লাদের কোপের মুহূর্তে।

সৌদি আরবের শীর্ষ জল্লাদ আবদুল্লাহ আল-বিশির। পেশাটি তার পারিবারিক। দণ্ডপ্রাপ্ত মানুষ কতল করা শিখেছেন তার বাবার কাছ থেকে। নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতায় শীর্ষ জল্লাদ পদটি লাভ করেছেন। তার ছেলে মুসায়ে-দত্তও দক্ষ জল্লাদ হয়ে উঠছেন। এটি একটি  পেশা, দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হয়। প্রতিটি শিরশ্ছেদের জন্য জল্লাদকে যে অর্থ দেওয়া হয়, তা ১৩৩ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ।

৪টি দেশে জনসমক্ষে শিরশ্ছেদে করা হয়ে থাকে: সৌদি আরব, ইরান, উত্তর কোরিয়া ও সোমালিয়া। ২০২০ সালের হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে ১১টি দেশকে উচ্চহারের মৃত্যুদণ্ডের দেশ বলে শনাক্ত করা হয়েছে: সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরাইন, ওমান, বেলারুশ, কুয়েত, কাতার ও তাইওয়ান।

বিবিসি সৌদি শিরশ্ছেদ শিল্পীর নাম আবদুল্লাহ আল-বিশি বলে উল্লেখ করলেও অন্যত্র তাকে বলা হয়েছে মুহাম্মদ সাদ আল-বিশি। দুটোই ঠিক। তার পুরো নাম আবদুল্লাহ বিন সাইয়িদ আল-বিশি। তিনি এ যাবৎ দৈনিক সর্বাধিক ৭টা মাথা নামিয়েছেন। তিনি বলেন, যতক্ষণ আমি আল্লাহর ইচ্ছায় তার সন্তুষ্টির জন্য কাজ করছি, দুটো, চারটে না দশটা শিরশ্ছেদ করলাম, তাকে কিছু এসে যায় না।

আল-বিশির কাজের সূচনা তায়ের কারাগারে, তার দায়িত্ব ছিল কতল করার আগে অপরাধীকে হাতকড়া পরানো ও চোখ বাঁধা—যেন কিছুই দেখতে না পারে। এক সময় আল-বিশির ইচ্ছে জাগল তিনিও জল্লাদ হবেন। যখন জল্লাদের পদ শূন্য হলো, আবেদন করলেন এবং তাকে নিয়োগ করা হলো। যে সব অপরাধের জন্য সৌদি আরবের আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে নাস্তিকতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাবৃত্তি, খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদক চোরাচালান, সশস্ত্র ডাকাতি, আল্লাহ-বিরোধিতা, ব্যভিচার, যাদু-টোনা, রাষ্ট্র ও আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। কাজেই মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতের সংখ্যা বেশিই হওয়ার কথা।

২০০৬ সালের নভেম্বরে লেবানিজ এলবিসি টিভিতে আব্দুল্লাহ আল-বিশির যে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়, তার ইংরেজি ট্রান্সক্রিপ্ট থেকে সংক্ষেপে এটি ভাষান্তরিত হলো:

প্রতিবেদক: আবদুল্লাহ আল-বিশি হচ্ছেন সৌদি আরবের সবচেয়ে খ্যাতিমান জল্লাদ। কোনটা তরবারির খেলা, আর কোনটা সিরিয়াস কাজ, তার তরবারি সে সীমান্তকে পৃথক করে নিতে জানে। যখন মাথাটা থেকে উঠে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর্যায়ে চলে আসে, জল্লাদের সঙ্গে আর সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই। যখন ফসল কাটার মৌসুম এসে যায়, এ কাজের জন্য তার চেয়ে বেশি উপযুক্ত আর কেউ নেই।

আবদুল্লাহ আল-বিশি: আমার পিতার মৃত্যুর পর আমার কাজের শুরু। তার মৃত্যুর এক সপ্তাহ বা ১০ দিন পর আমাকে যারা সমন দিলেন, তারা জল্লাদের কাজের তত্ত্বাবধায়ক। তারা বললেন, আমার একটি মিশন আছে, সে মিশন সম্পন্ন করতে হবে। আল্লাহ অবশ্যই মহান। তখন আমার তরবারি কিংবা অন্য কিছুই নেই। আমি আমার পিতার (আখিরাতের শান্তি বর্ষিত হোক তার ওপর) তরবারিটা নিয়ে শিরশ্ছেদের দায়িত্ব পালন করলাম। আমার প্রথম মিশনে ৩ জনের শিরশ্ছেদ করতে হয়েছে।

প্রতিবেদক শুরুর দিনকার কথাগুলো শুনতে চাইলেন।

আল-বিশি: আমি তখন স্কুলে পড়ছি। মক্কাতে একটি শিরশ্ছেদের দায়িত্ব পড়েছে আমার পিতার। ঘটনাটি ঘটবে বাদশাহ আবদ-আল আজিজ গেটের সামনে। আগে এ কাজ করা হতো আল-হালাম মসজিদের সামনে। পিতার সঙ্গে সেখানে গিয়ে পৌঁছালাম। সবাই যখন শিরশ্ছেদের কথা বলছিল, আমার সবার আগে খাদ্য-পরিপাকতন্ত্রের কথা মনে পড়ল। তখন আমরা স্কুলে পরিপাকতন্ত্রের ওপর একটি পরীক্ষা দিয়েছি। আমি এটা দেখতে চাই। যে মুহূর্তে আমার পিতার তরবারির আঘাতে মাথাটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল, আমি পরিপাকতন্ত্র দেখার জন্য ছুটে এলাম। আমি দেখলাম মাথাটা উড়ে যাচ্ছে, ঘাড়টা নিচের দিকে ঝুলে পড়েছে, ভেতরে একটা কূপের মতো মনে হলো। এ পর্যন্তই। আমি আর সহ্য করতে পারছিলাম না। বাড়ি ফেরার পথে আমি গাড়িতে জেগে রইলাম। রাতের বেলা ঘুমোতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হলাম। আমি দুঃস্বপ্ন দেখছিলাম। কিন্তু তা মাত্র একবারই তারপর আমি অভ্যস্ত হয়ে উঠি। সব প্রশংসা আল্লাহতায়ালার।

প্রতিবেদক: বহু ঘটনার স্মৃতি তার। এসবের প্রভাব তার ওপর পড়ার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এসব নিয়ে তিনি অন্য কোনো ঘটনার সঙ্গে মিলিয়ে রসিকতাও করছেন। তিনি এটা স্বীকার করেন না যে জল্লাদ নির্মম ব্যক্তিত্ব। তিনি নিজেকে সবচেয়ে বেশি সহানুভূতি-প্রবণ মানুষ বলে বিবেচনা করেন, তারপর নির্মমতার যেসব গল্প মানুষের মুখে তিনি শুনেন, এর সবই গুজব।

আল-বিশি: (তার তরবারিটি দেখিয়ে) এর নাম সুলতান। সুলতান দিয়ে শুরু করি। আমারও শুরুটা এই সুলতান দিয়েই। আমার প্রথম কাজের দিন এটাকেই ব্যবহার করি। এর নাম 'জওহর' তরবারি। এটি পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী তরবারি। মাথা নামাতে শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার। ভেঙে যায় কিংবা নষ্ট হয়ে যায়—এমন কোনো লৌহ দিয়ে এ তরবারি বানানো হয় না।

(আরও একটি তরবারি তুলে ধরেন আল-বিশি) এটাও 'জওহর'। প্রত্যেকটা তরবারিই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একেকটা একেক ধরনের কাজে ব্যবহার করা হয়। আমাদের একটি তরবারি আছে 'কারিধা'—লম্বালম্বি কোপ দেওয়ার জন্য।

এসময় সৌদি অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের মনস্তাত্ত্বিক ডাক্তার তুর্কি আল আতিয়ান বলেন, শরিয়ার রুলিং হচ্ছে আল্লাহতায়ালার নির্ধারিত শাস্তি তরবারির মাধ্যমে কার্যকর করা হবে। ফাঁসি দিয়ে কিংবা গুলি করে নয়। অতীতে বন্দুক ব্যবহার করা হতো এবং অপরাধীর অভিভাবকদেরই গুলি করতে দেওয়া হতো। আতঙ্কে তারা কাজটি ঠিকভাবে করতে পারত না। সৌদি সরকার সিদ্ধান্ত নেয় মৃত্যুদণ্ড কেবল তরবারির মাধ্যমেই কার্যকর করা হবে।

টিভি হোস্ট: জল্লাদ আবদুল্লাহ আল-বিশি কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন। তার বিলম্বের কারণ একটি শিরশ্ছেদ নিয়ে ব্যস্ততা। তিনি কাজ সেরে সরাসরি যোগ দিচ্ছেন।

সৌদি আরবে বেশ কয়েকজন জল্লাদ রয়েছেন। গবেষকরা তাদের ৬ জনকে শনাক্ত করতে পেরেছেন। তবে সঠিক সংখ্যা জানা নেই। তারা সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। শিরশ্ছেদ করবার জন্য আবদুল্লাহ আল-বিশিকে বিভিন্ন স্থানে সফর করতে হয়।

টিভি হোস্ট: আপনি কি কেবল মাথা নামিয়ে থাকেন, নাকি হাতও কাটেন?

আল-বিশি: হ্যাঁ, আমি হাতও কেটে থাকি। যে রকম নির্দেশনা রয়েছে, একদিকের হাত হলে অন্যদিকের পা-ও কাটা হয়।

টিভি হোস্ট: আবদুল্লাহ, আপনি যখন হাত কিংবা পা কাটেন, তখন কি অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করে তা করা হয়, না গর্দান কাটার মতো বিনা অ্যানেসথেসিয়ায়?

আল-বিশি: একটি হাত কিংবা একটি হাত ও একটি পা কাটার সময় লোকাল অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করা হয়।

টিভি হোস্ট: তবে এটা তো ঠিক যে, গর্দান কেটে ফেলার সময় তা প্রয়োগ করা হয় না?

আল-বিশি: না, তাকে মোটেও অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয় না।

টিভি হোস্ট: প্রথম শিরশ্ছেদের কথাটি কি মনে পড়ে? সেই দিনের ঘটনা?

আল-বিশি: আমার বেশ মনে পড়ে। একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে ডেকে বললেন, আল্লাহর বিধান অনুযায়ী শাস্তি দেওয়ার কাজটি আমাকেই করতে হবে—আর তা হচ্ছে শিরশ্ছেদ। আমি বললাম সমস্যা নেই। আমার পিতার তরবারি দিয়ে কাজটা সেরে ফেললাম।

টিভি হোস্ট: তখন আপনার বয়স কতো?

আল-বিশি: আমি তখন পুরুষ মানুষ।

টিভি হোস্ট: যে কোনো বয়সেই আপনি পুরুষ, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু বয়স কতো?

আল-বিশি: আমি ১৪১২ হিজরিতে শুরু করি, তখন আমার বয়স ৩২ কিংবা ৩৫ বছর।

টিভি হোস্ট: যেহেতু এটাই আপনার প্রথম, কেমন অনুভব করলেন।

আল-বিশি: নতুন চাকরিতে সবাই উদ্বিগ্ন থাকে, ভয় থাকে যদি ব্যর্থ হয়।

টিভি হোস্ট: আবদুল্লাহ আপনার জন্য সবচেয়ে কঠিন শিরশ্ছেদ কোনটি? কখনো আপনার পরিচিত কারো শিরশ্ছেদ করতে হয়েছে কী?

আল-বিশি: যাদের মাথা কেটে ফেলেছি, তাদের কেউ কেউ আমার বন্ধু ছিলেন। অপরাধ যে করে, সে নিজেই তো মৃত্যু ডেকে আনে।

টিভি হোস্ট: একজন দর্শক রিয়াদ থেকে জানতে চাচ্ছেন, আপনি কি শুধু পুরুষই কাতেল করেন, নাকি পুরুষ ও নারী উভয়ই? যদি করে থাকেন, তাহলে পুরুষের আর নারীর বেলায় পার্থক্য কী?

আল-বিশি: শিরশ্ছেদ তো শিরশ্ছেদই। পুরুষের ক্ষেত্রে কখনো কখনো অপরাধী নিজের স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না, বসে পড়ে কিংবা দাঁড়িয়ে যায়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা

২০১৮ সালের প্রথম ৪ মাসে ৪৮টি শিরশ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের অর্ধেক সৌদি নাগরিক। বাকিরা পাকিস্তান, ইয়েমেন, সিরিয়া, জর্ডান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, বার্মন, চাদ, ফিলিপিস, ইরেত্রিয়া ও সুদানের।

পশ্চিমে মৃত্যুদণ্ড তামিলের পদ্ধতি ভিন্ন। নিউইয়র্কের চিফ এক্সিকিউশনার রবার্ট জি-এলিয়ট আদালতের আদেশে মোট ৩৮৭ জনকে ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে হত্যা করেন। ২০০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ ৩ সেকেন্ডেই প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। এলিয়ট পরবর্তীকালে মৃত্যুদণ্ড-বিরোধী প্রচারণায় যোগ দেন।

ফ্রান্সের আনাতোল ডিবলার গিলোটিনে ৩৯৫ জনের শির বিচ্ছিন্ন করেছেন। তার মৃত্যুর পর আবিষ্কার হয় ১৪টি ডায়েরিতে তিনি সবগুলোর বিবরণ লিখে রেখেছিলেন।

ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সুদক্ষ এক্সিকিউশনার আলবার্ট পিয়েরেপয়েন্ট ১ দিন সর্বোচ্চ ১৭ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন। ১৯৫৬ সালে চাকরি থেকে পদত্যাগের আগে তিনি ৫ শতাধিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। তিনি মৃত্যুদণ্ড-বিরোধী আন্দোলনেও যোগ দেন।

জিওভানি বুগাতি ১৯ শতকে পোপের রাষ্ট্রীয় জল্লাদ হিসেবে কাজ করেছেন এবং ৫১৬টি মৃত্যুদণ্ড তামিল করেছেন।

স্পেনের রাজা ফিলিপের প্রধান জল্লাদ ফার্নান্দো আলভারেজ ডি টলোডো ১৮ হাজার মানুষকে পরপারে পাঠিয়েছেন বলে গর্ব করতেন। গবেষকরা বের করেছেন, এই সংখ্যাটি ৬ হাজারের বেশি হবে না।

জল্লাদদের মধ্যে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছেন রুশ ভ্যাসিলি মিখাইলোভিচ ব্লোখিন। তিনি ২৮ দিনে ৭ হাজার মানুষ হত্যা করেছেন। অবশ্য তাকে পেশাদার জল্লাদ বলার কোনো সুযোগ নেই। তিনি ছিলেন মেজর জেনারেল। ১৯৫৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি নিজেই ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। কী নির্মম নিয়তি!

Comments

The Daily Star  | English
Workers rights vs corporate profits

How some actors gambled with workers’ rights to save corporate profits

The CSDDD is the result of years of campaigning by a large coalition of civil society groups who managed to shift the narrative around corporate abuse.

12h ago