ওপর দিয়ে গেল ট্রেন, তবুও অক্ষত

ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলসেতুতে হাঁটার সময় চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে যান এক নারী। তবে, ট্রেনটি তার ওপর দিয়ে চলে গেলেও তার গায়ে কোনো আঘাত লাগেনি। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর বাড়ি ফিরে যান।

শুক্রবার সন্ধ্যায় আখাউড়া রেলওয়ে বাইপাস সংলগ্ন সেতুতে অবাক করা এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন, যা পরে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই নারীর নাম লিজা আক্তার। তিনি আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের বড় কুড়িপাইকা গ্রামের লিটন ভূঁইয়ার মেয়ে ও একই এলাকার জুনাইদ গাজীর স্ত্রী। ঘটনার সময় ওই নারীর স্বামী ও তার আরেক আত্মীয় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লিজা আক্তারের স্বামী জুনায়েদ গাজী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের পরিবারের কয়েকজন মিলে আখাউড়া তিতাস রেলওয়ে সেতু এলাকায় ঘুরতে আসি। লিজাসহ অন্যরা সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল। এসময় সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনকে আখাউড়ার দিকে আসতে দেখে সবাই সরে যান। কিন্তু, লিজা হোঁচট খেয়ে রেললাইনের ওপর পড়ে গেলে তার ওপর দিয়ে ট্রেনটি চলে যায়। কিন্তু, অবাক করা ব্যাপার হলো আমার স্ত্রী বেঁচে যান।'

এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করা আমজাদ হোসেন ভূঁইয়া জানান, তিনি মূলত ট্রেনের ভিডিও করছিলেন। তখন ওই নারী ট্রেনের নিচে পড়ে যাওয়ার দৃশ্য ধারণ হয়ে যায়। ট্রেনটি চলে যাওয়া মাত্র ওই তার মাথায় পানি ঢেলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সামান্য চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন।

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. ইকরাম জানান, ওই নারীর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে, তার শরীরে সামান্য ব্যথা আছে। পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়িতে নিয়ে গেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, 'এ ঘটনার খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। সেখানে তাকে না পেয়ে তার মায়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছি। তিনি বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে তার মা আমাদের জানিয়েছেন।'

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

7h ago