ফল নিয়ে না ভেবে ভয়ডরহীন ক্রিকেটে চোখ সোহানের

nurul hasan sohan
নুরুল হাসান সোহান। ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

এক সিরিজ আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দলেই জায়গা ছিল না নুরুল হাসান সোহানের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখনো পর্যন্ত তার যা পরিসংখ্যান তাতে দলে জায়গা থিতু হওয়ার অবস্থাও ছিল না। প্রেক্ষাপট বদলে এবার তিনি রীতিমতো অধিনায়ক। মাহমুদউল্লাহকে সরিয়ে নতুন ব্র্যান্ডের টি-টোয়েন্টির যে পরিকল্পনা করেছে বিসিবি, তার প্রথম ধাপে সোহান দায়িত্ব নিয়ে অবশ্য খুব বেশি নতুন কথা শোনাতে পারলেন না। তবে আলাদা করার মতো কথা হচ্ছে, নিরাপদ পথে না হেঁটে ঝুঁকি নিতে পরোয়া করবেন না তিনি।

আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক করা হয়েছে তাকে। এই সিরিজের পর বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন পুরনো নেতা সাকিব আল হাসান। সোহানের জন্য তাই এই সিরিজটা ঠেকার কাজ চালানোর মতো।

তবে স্টপগ্যাপেও চাইলে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দেওয়া যায়, আগামীর বার্তাও দিয়ে রাখা যায়। মাঠের খেলায় বিসিবিরও তার প্রতি সেই প্রত্যাশা। তার আগে গণমাধ্যমে নিজের চিন্তা জানাতে এসে অনেক প্রশ্নের মুখে ঠিক আলাদা করে তার ক্রিকেটীয় গভীরতার পরিচয় পাওয়া গেল না।

রোববার নির্ধারিত সময়ের আধাঘন্টা পরে সংবাদ সম্মেলনে এলেন টি-টোয়েন্টির নতুন অধিনায়ক। নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরি করে আসা অবশ্য বাংলাদেশ দলের অধিনায়কদেরই একটা রীতি হয়ে গেছে। সোহান এখানে ব্যতিক্রম হতে পারেননি।

টি-টোয়েন্টির দুর্দশা কাটাতে আগের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বারবার বলতেন, সাফল্যের জন্য তারা খেলতে চান দল হিসেবে। সোহানের মুখেও এদিন শোনা গেল এই কথাই,  'ঘরোয়া ক্রিকেটে যখনই অধিনায়কত্ব করেছি, সব জায়গায় দল হিসেবে খেলার চেষ্টা করেছি। এই কালচারটাই ধরে রাখতে চাই।'

'টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে আমরা পিছিয়ে আছি। এই মুহূর্তে দল হিসেবে খেলতে চাই।'

দল হিসেবে খেলার কথা ২০ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে ঘুরেফিরে এলো আরও একাধিকবার।

ক্রিকেট দলীয় খেলা। দল হিসেবে না খেলে কেবল ব্যক্তিগতভাবে এখানে খেলা যায় না। প্রতিটি দলই তাই দল হিসেবেই খেলে। বিচ্ছিন্নভাবে কেউ খেলে না। কিন্তু বাংলাদেশ দলের মূল সমস্যা বোধহয় এখানে নয়।

কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে যে ধরণের আগ্রাসী মনোভাব ও তীব্রতা থাকা উচিত তার অভাব দেখা যায় বাংলাদেশ দলে। ২৮ পেরুনো সোহানের একটা কথা থেকে অবশ্য বোঝা গেল সেই আগ্রাসনের দিকে ইতিবাচক চোখ আছে তার,  'ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। রেজাল্ট  নিয়ে বেশি চিন্তা করলে হবে না। ভয়ডরহীন থাকলে ভালো কিছুই হবে।'

'যখন ফিয়ারলেস থাকবেন, তখন অনেক অপশন বেরিয়ে আসবে। সেটাই চেষ্টা থাকবে। যেন আমরা দল হিসেবে খেলতে পারি এটা নিশ্চিত করা।'

Comments

The Daily Star  | English

Ishraque alleges political obstruction in DSCC mayoral appointment

Announces establishment of 'Mayor's Cell' to monitor service delivery in the city

5m ago