বাংলাদেশকে ২০৬ রানের বড় লক্ষ্য দিল জিম্বাবুয়ে

ছবি: জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট টুইটার

হারারে স্পোর্টস ক্লাবের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটের সুবিধা পুরোপুরি আদায় করলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। তিনে নেমে ওয়েসলি মাধেভেরে তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফসেঞ্চুরি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং উপহার দিলেন শন উইলিয়ামস। পরে সিকান্দার রাজা খেললেন বিধ্বংসী ইনিংস। বিপরীতে, লাইন ও লেংথ নিয়ে ধুঁকলেন তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ। ফলে বাংলাদেশ পেল বড় রান তাড়ার কঠিন লক্ষ্য।

শনিবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বোলারদের বেধড়ক পিটিয়েছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান তুলেছে তারা।

প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৭৪ রান তোলা ক্রেইগ আরভিনের দল পরের ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে যোগ করে আরও ১৩১ রান। ইনিংসের শেষ ৬ ওভারেই তারা জমা করে ৯১ রান!

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৪৩ রান তুলেছিল জিম্বাবুয়ে। স্কোরবোর্ডে প্রতিপক্ষের এই সংগ্রহ নিয়ে তখন হয়তো খুশিই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তরুণ বাঁহাতি পেসার শরিফুলের করা দ্বাদশ ওভার থেকে পাল্টে যায় চিত্র। উইলিয়ামস তাকে ২ চার ও ১ ছক্কা মারলে ওই ওভার থেকে আসে ১৮ রান। এরপর প্রতি ওভারেই নিয়মিত বাউন্ডারি আসতে থাকে।

মাধেভেরে এক প্রান্ত আগলে রাখেন। উইলিয়ামসের বিদায়ের পর অন্য প্রান্তে তাণ্ডব চালান রাজা। তাতে ফুলে-ফেঁপে ওঠে স্বাগতিকদের পুঁজি। ১৯ ও ২০তম ওভারে ১৯ রান করে খরচ করেন যথাক্রমে শরিফুল ও মোস্তাফিজ।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে গত ১১ জুলাই বুলাওয়েতে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২৩৬ রান করেছিল তারা। আর হারারেতে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড এটি। তাদের আগের কীর্তিটিও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। গত বছরের জুলাইতে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান করেছিল স্বাগতিকরা।

আহত আবসরে যাওয়ার আগে মাধেভেরে ৪৬ বলে ৬৭ রান করেন ৯ চারের সাহায্যে। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংকে গতি পাইয়ে দেওয়া উইলিয়ামস ৪ চার ও ১ ছক্কায় করেন ১৯ বলে ৩৩ রান। তৃতীয় উইকেটে তারা দুজনে যোগ করেন ৩৭ বলে ৫৬ রান।

এরপর বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে চতুর্থ উইকেটে মাধেভেরের সঙ্গে ৪৩ বলে ৯১ রানের জুটি গড়েন রাজা। মাত্র ২৩ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করা রাজা অপরাজিত থাকেন ৬৫ রানে। ২৬ বলের ইনিংসে তিনি মারেন ৭ চার ও ৪ ছক্কা।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২ উইকেট নিলেও সবচেয়ে খরুচে ছিলেন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজই। তার ৪ ওভার থেকে আসে ৫০ রান। অফ স্পিনে ১ উইকেট নিতে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩ ওভারে দেন ২১ রান। এছাড়া, ৪ ওভার করে হাত ঘুরিয়ে শরিফুল ৪৫, তাসকিন ৪২ ও নাসুম ৩৮ রান খরচ করেন।

Comments

The Daily Star  | English
development beyond macroeconomics in Bangladesh

Development is not just about macroeconomic progress

Do macroeconomic concepts reflect the realities on the ground?

14h ago