মধুখালী-মাগুরা রেলপথ প্রকল্পের সময় বাড়ছে, ব্যয় নয়: রেলমন্ত্রী

আজ মঙ্গলবার মধুখালী টু মাগুরা রেললাইন প্রকল্প কাজ পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। ছবি: সংগৃহীত

মধুখালী টু মাগুরা ভায়া কামারখালী ব্রডগেজ রেললাইন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

তবে সময় বাড়ানো হলেও প্রকল্প ব্যয় বাড়বে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে ওই প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে এসে কামারখালী বাজার সংলগ্ন নির্মাণাধীন কামারখালী রেল স্টেশনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা জানান রেলমন্ত্রী।

রেলমন্ত্রী বলেন, '২০১৮ সালে ৪ বছর মেয়াদী এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এটি শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের নভেম্বরে। তবে জমি অধিগ্রহজনিত জটিলতা, এলাকার বাস্তবতা এবং সর্বোপরি করোনার প্রদুর্ভাবের কারণে কাজ সময়মতো শুরু করা যায়নি। প্রকল্প শুরুর অনেক পরে, ২০২১ সালের ২৩ মে এ কাজ শুরু হয়েছে।

রেলমন্ত্রী বলেন, 'সময়মতো কাজ শেষ করা না গেলে এ কাজের সময় বাড়ানো হবে, তবে এজন্য সরকার প্রকল্প ব্যয় বাড়াবে না।'

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প ব্যয় বাড়ানোর দাবি করেছেন বলে জানান তিনি।

রেলমন্ত্রী বলেন, 'এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যয়ে। তাই বিশ্ববাজারে নির্মাণ সামগ্রীর দাম কতটা কি বেড়েছে তা সরকারের বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ নেই।'

তিনি আরও বলেন, 'এ কাজের অংশ হিসেবে দুটি নতুন রেলস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর একটি মাগুরাতে এবং অপরটি ফরিদপুরের কামারখালীতে। মধুমতি নদীর ওপর রেল সেতু নির্মাণ কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। পাইলিংয়ের বাকি কাজ বর্ষার পর শেষ হবে। এ প্রকল্পের অধীনে নতুন রেললাইন স্থাপনের পাশাপাশি পুরোনো রেললাইন সংস্কার করা হচ্ছে।'

এ সময় মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর ও মীর আক্তার কনস্ট্রকশন লিমিটেডের সত্ত্বাধিকারী মীর নাসির হোসনসহ রেলওয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ৮৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে ৪৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ দশমিক ৯ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করছে কাজী নাবিল আহমেদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল কনস্ট্রাশন কোম্পানি লিমিটেড। এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৩০ ভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে।

অপরদিকে মধুমতী নদীর ওপর ২ হাজার ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্যের রেল সেতু নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে ৪৪৮ কোটি টাকায়। এ কাজের ঠিকাদারি পেয়েছে মীর আক্তার কনস্ট্রকশন লিমিটেড। এ পর্যন্ত ওই প্রকল্পের ২৭ ভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে।

                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                         

Comments

The Daily Star  | English

Muslim pilgrims pray at Mount Arafat in hajj apex

Thousands of pilgrims began to gather before dawn around the hill and the surrounding plain

1h ago