বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানিয়েছ সরকার: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ফটো

শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এই কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমাদের দুর্ভাগ্য যে, দেশে কোনো প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে গড়ে ওঠেনি। ভালো স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে আমাদের বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।'

এর জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দায়ী করে তিনি বলেন, 'স্বাধীনতার পর তারাই ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু তারা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। তারা মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।'

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ড্যাবের রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দেশে অবিশ্বাস্যভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। মানুষ এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছে। ঠিক এই সময়ে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি চরম অমানবিক কাজ। এই সরকার ভয়াবহ। বাংলাদেশে যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল তখনো কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে। দাম বৃদ্ধি করে টাকা সরকারের পকেটে গেছে।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন ভোলায়, লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিএনপি ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছিল। তারা রহিম ও নূরে আলমকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেছে। গত ১৫ বছরে দেশে অসংখ্য ঘটনা ঘটিয়েছে সরকার। তারা দেশকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা। খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা। অথচ তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেই টাকা ব্যাংকেই রয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'সরকার জেনেশুনে দেশকে ধ্বংস করছে। আমাদের সময় ইউরিয়ার বস্তা ৩০০ টাকায় মিলত। এখন ১৩০০ টাকার ওপরে। তেল গ্যাস বিদ্যুৎ সবকিছুর দাম বাড়িয়েছে। ফলে মানুষ ফসল উৎপাদন কমিয়ে দিচ্ছে। তারা পেশা পরিবর্তন করছে। এ কারণে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকিতে পড়েছে।'

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ দেশ ভয়াবহ সংকটে। ফ্যাসিস্ট সরকার চেপে বসেছে। যাদের কোনো বৈধতা নেই। গোটা বিশ্বকে বোকা বানিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে তারা। ২০০৮ সালে কারচুপির নির্বাচন করেছে। ২০১৪ সালে ভুয়া নির্বাচন করেছে। ২০১৮ সালে কি হয়েছে তা সবার জানা। বর্তমান সংসদ হলো রাবার স্ট্যাম্প। একজন কথা বলেন আর বাকিরা বলে বেশ বেশ। জনগণকে নির্বাচন বিমুখ করেছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যে আন্দোলন তা শুধু বিএনপির নয়। এখানে সবাইকে সম্পৃক্ত করে দেশে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে সব পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Govt declares 10-day Eid holiday starting June 5

Offices to remain open on two weekly holidays— May 17 and 24—to offset Eid vacation

1h ago