পাঁচ ওপেনার থেকে এবার স্রেফ দুই ওপেনার

parvez hossain emon & anamul haque bijoy
স্কোয়াডে নিয়মিত ওপেনার হিসেবে আছেন কেবল পারভেজ হোসেন ইমন ও এনামুল হক বিজয়

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য বাংলাদেশ স্কোয়াডে ওপেনার ছিলেন পাঁচজন। এত ওপেনার থাকায় ছিল না মিডল অর্ডারের ব্যাকআপ। যা নিয়ে ভুগতে হয় দলকে। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে আবার ঠিক উল্টো ভারসাম্যহীনতা। মিডল অর্ডারের অনেক ছড়াছড়ি থাকলেও বাড়তি কোন ওপেনারই রাখা হয়নি দলে।

নিয়মিত ওপেনার হিসেবে এশিয়া কাপের ১৭ জনের দলে  আছেন স্রেফ এনামুল হক বিজয় ও মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি খেলা তরুণ পারভেজ হোসেন ইমন। এই দুজনের বাইরে আর কাউকেই রাখা হয়নি।

জিম্বাবুয়ে সফরের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর নুরুল হাসান সোহান ছিটকে পড়ায় বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ দল। ওই সিরিজে বাধ্যতামূলক বিশ্রাম দেওয়া হলে পরে নাটকীয়ভাবে শেষ ম্যাচের দলে নেওয়া হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকে।

সেসময় টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, দলে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের ঘাটতি থাকার কথা জানিয়েছিলেন। এবার হলো উল্টো।

দলে একই পজিশনের ব্যাটসম্যান আছেন মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সাব্বির রহমান। মিডল অর্ডারে খেলার জন্য আছেন মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেনও। শেখ মেহেদী, মেহেদী হাসান মিরাজরাও এসব পজিশনে খেলেন।

স্কোয়াডে থাকা দুই ওপেনার কার্যকর না হলে, বা ম্যাচের আগে চোটে পড়লে কি করা হবে?  নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মিডল অর্ডার থেকেই হয়ত কাউকে ওপেনিংয়ে নিয়ে আসা হবে,  'আসলে আমাদের মূল ওপেনার লিটন দাস। সে চোটে থাকায় একটা ঘাটতি হয়ে গেছে। ও বিশ্বকাপে ফিরে এলে সমস্যাটা থাকবে না। আর এশিয়া কাপে আমাদের আসলে পরিকল্পনা আছে মিডল অর্ডার থেকে হয়ত কেউ ওপেন করবে। সেটা নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর।'

এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানকে এক ম্যাচে ওপেন করতে দেখা গিয়েছিল। তবে সেদিন তিনি হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে থাকায় পাওয়ার প্লের সুবিধা নিতে নেমেছিলেন ওপেন করতে। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে আফিফ হোসেনকে ওপেন করতে দেখা গেছে। তিনি হতে পারেন বিকল্প। আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে বাংলাদেশ দল রাখতে চায় চমক। 

Comments

The Daily Star  | English

Kamal Hossain urges vigilance against obstacles to nation-building effort

"The main goal of the freedom — gained through the great Liberation War — was to establish democracy, justice, human rights and build a society free from exploitation. But we have failed to achieve that in the last 54 years," says Dr Kamal

36m ago