তেজনারাইনের সেঞ্চুরির দিনে নাঈমের ৩ উইকেট

সাইফ হাসানের সেঞ্চুরিতে তিনশো রানের পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ 'এ' দল। বৃষ্টিতে দফায় দফায় বিঘ্ন হওয়া ম্যাচে এই রানের জবাব দিতে নেমে সেঞ্চুরি করেন শিবনারায়ণ চন্দরপলের ছেলে তেজনারাইন চন্দরপল। ড্র হওয়া ম্যাচে বল হাতে বাংলাদেশের পক্ষে সাফল্য পান বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও অফ স্পিনার নাঈম হাসান।
সেন্ট লুসিয়ায় আনঅফিসিয়াল দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিনে হয়নি কোন নাটকীয়তা। বাংলাদেশের ৩০০ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ 'এ' দল তুলে ৫ উইকেটে ২৭৭ রান। চার দিনে শেষ হয়নি দুদলের এক ইনিংসও।
একই ভেন্যুতে প্রথম আনঅফিসিয়াল টেস্টও বৃষ্টির কারণে ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচেও দাপট ছিল ক্যারিবিয়ানদেরই।
চন্দরপল পুত্র তেজনারাইন ৩৩৭ বল খেলে করেন ১০৯ রান। আউট না হয়েও তিনি মাঠ ছাড়েন স্বেচ্ছায়। ১২১ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন আলিক আথানেজ।
শেষ দিনে 'এ' দলের হয়ে তিন উইকেট শিকার করেন অফ স্পিনার নাঈম। এদিন আর কোন বোলারই পাননি সাফল্য। আগের দিন ২ উইকেট নিয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয়।
২ উইকেটে ৪৩ নিয়ে শুরুর পর জশুয়া দা সিলভার সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তেজনারাইন। জুটিতে ৫০ আসার পর জশুয়াকে ফেরান নাঈম।
পরে টেভিন ইমলাককে নিয়ে ৫৬ রানের আরেক জুটি পান তেজনাইরাইন। ২১ রান করা ইমলাককে ফিরিয়ে এই জুটিও ভাঙেন নাঈম।
এরপর আসে বাংলাদেশকে হতাশ করে দেওয়া সময়। তেজনারাইন-আথানেজের জুটি এগিয়ে নেয় স্বাগতিকদের। খালেদ আহমেদ টানা বল করেও পাননি দিশা। বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামও পারেননি প্রভাব রাখতে।
তাদের হতাশ করে ৩০৫ বলে তিন অঙ্কের ঠিকানা পান তেজনারাইন। আথানেজও ছিলেন সে পথে। ৮২ রান করা এই ব্যাটারকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান নাঈম। এতে অবশ্য ম্যাচের কোন প্রভাব ছিল না।
দীর্ঘ পরিসরের সিরিজ শেষে দুই 'এ' দল এবার মুখোমুখি হবে একদিনের সিরিজে। একই ভেন্যুতেই ১৬, ১৮ ও ২০ অগাস্ট তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ 'এ' দল প্রথম ইনিংস: ১২৬.৪ ওভারে ৩০০/৯ (ডি.)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ 'এ' প্রথম ইনিংস: ১১৫.১ ওভারে ২৭৭/৫ (আগের দিন ৪৩/২) (তেজনারাইন ১০৯ (অবসর), সলোজানো ১০, কার্টি ০, জশুয়া ৩৭, ইমলাক ২১, আথানেজ ৮২, কারাইয়াহ ১৩*; খালেদ ০/৭২, মৃত্যুঞ্জয় ২/৩৮, নাঈম ৩/৬৯, তানভির ০/৫২, জয় ০/৬, মিঠুন ০/৩৫)।
ফল: ম্যাচ ড্র।
সিরিজ: দুই ম্যাচের সিরিজ ০-০ ড্র।
ম্যান অব দা ম্যাচ: সাইফ হাসান।
Comments