এফটিপিতে বেশি ম্যাচ পেয়েও যেসব চিন্তা বিসিবির
আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি পরিকল্পনার চলমান চক্রের চেয়ে পরের চক্রে টেস্ট সংখ্যা বাড়েনি। কিন্তু তাও ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তানের থেকে বেশি পাচ্ছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে পাচ্ছে সবচেয়ে বেশি, টি-টোয়েন্টি সংখ্যাও অনেক। সবচেয়ে বেশি ১৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ বরাদ্দ পেয়েছে বাংলাদেশ। তাতে ইতিবাচক দিকের সঙ্গে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও দেখছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস।
২০২৩ সালের মে মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া পরের চক্রে বাংলাদেশের টেস্ট আছে ৩৪টি। ওয়ানডে ৫৯ ও টি-টোয়েন্টি পেয়েছে ৫৭টি। চলমান চক্রে এরমধ্যে ৩১ টেস্ট খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ, বাকি আছে আরও তিনটি।
বছর হিসাব করলে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ খেলবে ৪টেস্ট, ১২ ওয়ানডে ও ১০ টি-টোয়েন্ট ২০২৪ সালে আছে ১৪ টেস্ট, ৯ ওয়ানডে ও ১৭ টি-টোয়েন্টি। ২০২৫ সালে ৪ টেস্ট ১৮টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।
২০২৬ সালে ৮ টেস্ট, ২০ ওয়ানডে ও ১২ টি-টোয়েন্টি। ২০২৭ সালে এখন পর্যন্ত ৪টেস্টের পরিকল্পনা হয়েছে। নিশ্চিতভাবেই যোগ হবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।
২০২৩ সালে ২৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেও ২০২৪ থেকে ২০২৬ প্রতি বছরই এফটিপিতে ৪০টি ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। এর বাইরেও বৈশ্বিক আসরগুলো আছে। এফটিপির বাইরেও খেলা আয়োজনের পরিকল্পনা আছে। সব মিলিয়ে ঠাসা একটু সূচির সামনে বাংলাদেশের ক্রিকেট।
তা নিয়ে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে খেলোয়াড় সংকট নিয়ে বড় চিন্তা বিসিবির। দ্য ডেইলি স্টারকে জালাল সেই চ্যালেঞ্জের কথাই জানালেন, 'অবশ্যই এফটিপিতে আমাদের জন্য বেশি ম্যাচ থাকা ইতিবাচক দিক কিন্তু একই সঙ্গে এটা বিশাল চ্যালেঞ্জেরও।'
'অনেকেই বলছেন সংখ্যাটা অনেক বেশি। কিন্তু সামনের এই ঠাসা সূচি সামলাতে আমাদের প্রচুর ক্রিকেটারও দরকার।'
'সব সংস্করণেই যেহেতু আমাদের অনেক ম্যাচ। আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে নির্দিষ্ট সংস্করণের জন্য খেলোয়াড় তৈরি করা।'
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতেই বাংলাদেশের ভোগান্তি বেশি। অপারেশন্স চেয়ারম্যান জানান সেই দিকটা চিহ্নিত করেই পরিকল্পনায় আছেন তারা, 'আমাদের ভালো ভালো টেস্ট ইউনিট বানাতে হবে। টি২০ তে উন্নতি করতে হবে। বাংলাদেশ টাইগার্সে আমরা খেলোয়াড়দের স্কিল বাড়াচ্ছি। এটা সারাবছর ধরে চলমান থাকবে।'
বেশি ম্যাচ মানে ইনজুরির শঙ্কাও বেশি। সেই দিকটা মাথায় রেখে ইনজুরি ম্যানেজমেন্টের জন্য আলাদা ইউনিট করবে বিসিবি, 'জাতীয় দলের জন্য আমাদের ইনজুরি ম্যানেজমেন্ট ইউনিট করার পরিকল্পনা আছে। যদি ঠাসা সূচি থাকা তখন চোটও বেশি হতে পারে।'
'দেশের বাইরে থেকে স্পেশালিষ্ট ফিজিও আনব, যিনি সারা বছর ধরে দলের সঙ্গে কাজ করবেন।'
Comments