প্রায় সাড়ে ৩ মাস পর বড়পুকুরিয়ায় পুরোদমে কয়লা উৎপাদন শুরু

প্রায় সাড়ে ৩ মাসের বেশি সময় পর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে পুরো দমে কয়লা উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি। স্টার ফাইল ফটো

প্রায় সাড়ে ৩ মাসের বেশি সময় পর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে পুরো দমে কয়লা উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গতকাল শনিবার, ৩ শিফটে কয়লা উৎপাদন শুরু হয়। ৩ শিফটে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন কয়লা উৎপাদন করা হয়েছে।

এর আগে, ৩০ এপ্রিল ভূগর্ভের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য উৎপাদন বন্ধের পর শনিবার থেকে প্রথমবারের মতো তিন শিফটে উৎপাদন শুরু হলো।

এদিকে, পুরোদমে কয়লার উৎপাদন শুরু হওয়ায় পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত কয়লার স্বল্পতার কারণে কয়েকমাস ধরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।

বড়পুকুরিয়ার উৎপাদিত কয়লা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়।

রক্ষণাবেক্ষণ করে,আগস্ট এর শেষের দিকে, খনির কয়লা উৎপাদন শুরু হওয়া করা থাকলেও মূলত কয়লা চালিত তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন কয়লা সংকটে বন্ধ হতে পারে এমন আশঙ্কায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন প্রায় এক মাস আছে উৎপাদনে যায়। 

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাইফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খনি ভূ-গর্ভে ১৩০৬ নম্বর কোল ফেইস থেকে গত ২৭ জুলাই কয়লা উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু স্থানীয় ও চীনা খনি শ্রমিকদের করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ২৯ জুলাই সাময়িকভাবে উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে স্থানীয় প্রায় সাড়ে তিনশ শ্রমিককে ছুটিতে পাঠানো হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ৬ আগস্ট থেকে স্বল্প সংখ্যক স্থানীয় ও চীনা শ্রমিক দিয়ে সীমিত পরিসরে ১ শিফটে কয়লা উৎপাদন শুরু হয়। সর্বশেষ গতকাল থেকে ৩ শিফট চালু করা হয়।'

১৩০৬ নম্বর ফেইস থেকে প্রতিদিন ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এদিকে, কয়লা উৎপাদন শুরু হওয়ায় পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ৩টি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৫ হাজার ২০০ টন কয়লার প্রয়োজন হয়। তবে, ৩টি ইউনিট একই সঙ্গে চালানো হয় না।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. ওয়াজেদ আলী সরকার বলেন, 'বিদ্যুৎকেন্দ্রে অন্তত একমাসের কয়লা মজুদ রাখতে হয়। কিন্তু, আপাতত আমাদের কাছে সেই পরিমাণ কয়লা নেই। কয়লার মজুদ কমে যাওয়ায় বর্তমানে ২টি ইউনিট চালু রেখে ৩০০ থেকে ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এজন্য প্রতিদিন কয়লার প্রয়োজন হয় প্রায় ৪ হাজার মেট্রিকটন।'

Comments

The Daily Star  | English
quota reform movement,

Govt publishes preliminary list of those killed in July-August protests

The interim government today published a preliminary list of 726 people who died during the student-led mass protests in July and August.

1h ago