রাজার সেঞ্চুরিতে ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে

শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৩ রানের। উইকেটে দুই সেট ব্যাটার সিকান্দার রাজা ও ব্রাড ইভান্স। দুটি চার ও একটি ছক্কায় পাঁচ বলেই আসে ১৬ রান। অর্থাৎ জয় থেকে ১৭ দূরে জিম্বাবুয়ে। বল বাকি ১৩টি। হাতে উইকেট তিনটি। কিন্তু শেষ দিকে স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে পারলো না স্বাগতিকরা। ফলে হার দিয়েই সিরিজ শেষ হয় তাদের।
সোমবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ১৩ রানে হারিয়েছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮৯ রান করে সফরকারীরা। জবাবে তিন বল বাকি থাকতে ২৭৬ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
তবে এক প্রান্তে অসাধারণ লড়াই করে ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন সিকান্দার রাজা। সেঞ্চুরি তুলে দলকে জয়ের পথেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ ব্যাটার উইকেটে থাকা অবস্থায় হারের শঙ্কাটা তখন প্রবল ভাবেই জেগেছিল ভারতীয় শিবিরে। কিন্তু তার আউটের পরই বদলে যায় চিত্র।
মূলত ব্যাটারদের ব্যর্থতাতেই হারে জিম্বাবুয়ে। প্রায় তিনশ রান তাড়ায় তাদের সূচনাটা ভালো হয়নি। ১৬৯ রানেই ৭ উইকেট হারালে লেজ বেরিয়ে আসে দলটির। আট নম্বর ব্যাটার ইভান্সকে নিয়ে তখন দলের হাল ধরেন রাজা। অষ্টম উইকেটে ১০৪ রানের জুটি গড়ে দলকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জয়ের।
৯৫ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১৫ রানের ইনিংস খেলেন রাজা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিটি তুলে নিতে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন এ অলরাউন্ডার। শেন উইলিয়ামসের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। এছাড়া ইভান্স খেলেন কার্যকরী ২৮ রান। ভারতের পক্ষে ৬৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান আবেশ। এছাড়া ২টি করে শিকার কুলদিপ যাদব, দিপক চাহার ও অক্ষর প্যাটেলের।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও অধিনায়ক লোকেশ রাহুল গড়েন ৬৩ রানের জুটি। অবশ্য ২১ রানের ব্যবধানে এ দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফিরেছিল জিম্বাবুয়ে। তবে তৃতীয় উইকেটে ইশান কিসানের সঙ্গে শুভমান গিলের ১৪০ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহই করে ভারত।
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৩০ রানের ইনিংস খেলেন শুভমান। ৯৭ বলে ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৬১ বলে ৫০ রান করেন ইশান। এছাড়া শিখর ৪০ ও রাহুল ৩০ রান করেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৫৪ রানের খরচায় ৫টি উইকেট পান ইভান্স।
Comments