পাওয়ার-হিটার হতে যা করেন আসিফ আলী

শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৪ রানের। তাই জয়ের আশাটা ভালোভাবেই ছিল আফগানিস্তানের। কিন্তু আগের ওভারে নামা আসিফ আলী এক ওভারেই বদলে দিলেন ম্যাচের চিত্র। করিম জানাতের এক ওভারেই মারেন চারটি ছক্কা। উল্টো সহজ জয় মিলে পাকিস্তানের।
উপরের ম্যাচের চিত্রটি গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। তবে শুধু সে ম্যাচই নয়, এমন অনেক ম্যাচেই ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং করে পাকিস্তানকে জিতিয়ে দিয়েছেন আসিফ। সাধারণত সাত-আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য বিখ্যাত এ ব্যাটার। বিশেষকরে পিএসএলের মঞ্চে অনেকবারই নিজ দলকে এনে দিয়েছেন রোমাঞ্চকর সব জয়।
আসন্ন এশিয়া কাপের জন্য এবার নিজেকে প্রস্তুত করছেন আসিফ। এই টুর্নামেন্টের আগে নিজের শেষ প্রস্তুতিটা নিচ্ছেন তিনি। একই সঙ্গে নিজের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেছেন। পিসিবির সঙ্গে আলাপকাপে ব্যাটিং কৌশল সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য প্রতিদিন একশ-দেড়শটি ছক্কা মারেন তিনি।
'আমি এমন একটি পজিশনে ব্যাটিং করি যেখানে ওভার প্রতি ১০ এর বেশি রান করা প্রয়োজন। এর জন্য, আপনাকে বড় শট মারতে হবে এবং এর জন্য প্রচুর অনুশীলনের প্রয়োজন। অনুশীলনে আমি সাধারণত প্রতিদিন একশ-দেড়শটি ছক্কা মারি যাতে আমি ম্যাচে চার থেকে পাঁচটা মারতে পারি,' নিজের কৌশলের ব্যাখ্যা করে এমনটাই বলেন আসিফ।
পাওয়ার হিটিংয়ে উন্নতি করতে টেপ-বল ক্রিকেটের গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করেন আসিফ, 'টেপ-বল ক্রিকেট আমাকে পাওয়ার হিটিংয়ে অনেক সাহায্য করে। টেপ-বল ক্রিকেটে, আপনাকে সোজা ব্যাট নিয়ে খেলতে হয় এবং স্থির মাথা দিয়ে খেলতে হয় যা আপনার মনোযোগ বাড়ায়। এছাড়া এখানে সবসময় বড় লক্ষ্য তাড়া করতে হয়। আজও যখনই সময় পাই, টেপ-বল ক্রিকেট খেলি'।
ম্যাচের পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নেন তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এই ক্রিকেটার আরও বলেন, 'এটা নির্ভর করে ম্যাচের পরিস্থিতির ওপর। আমি যখন টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট করতে আসি, তখন আমার উপর সবসময় চাপ থাকে। আমি বলকে তার লাইন এবং লেংথ অনুযায়ী আঘাত করার চেষ্টা করি। আমি একই শট বারবার খেলার কথা ভাবিও না।'
Comments