ব্যাটিং ব্যর্থতায় আফগানিস্তানকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

ছবি: এসিসি

অফ স্পিনার মুজিব উর রহমানের তোপে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ল বাংলাদেশ। সময়ের সেরা লেগ স্পিনার রশিদ খানও উইকেট উৎসবে যোগ দেওয়ায় বিপাক আরও বাড়ল টাইগারদের। সেই ধাক্কা সামলে আর পথের দিশা খুঁজে পেল না তাদের ব্যাটিং। সাতে নামা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের কল্যাণে বাংলাদেশের পুঁজি নিল ভদ্রস্থ রূপ।

মঙ্গলবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের 'বি' গ্রুপের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। কিছুটা মন্থর উইকেটে বল হাতে ভেলকি দেখান আফগান স্পিনাররা। ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে মুজিব ৩ উইকেট নেন ১৬ রানে। সমানসংখ্যক উইকেট পেতে রশিদের খরচা ২২ রান।

প্রথম ৬ ওভারে ৩ উইকেট খুইয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৮ রান জমা করতে পারে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়ের উদ্বোধনী জুটি কার্যকর হয়নি। দুই অভিজ্ঞ সাকিব আর মুশফিকুর রহিমও টিকতে পারেননি। তারা চারজনই ফেরেন এক অঙ্কের রানে। আফিফ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পারেননি নিজেদের মেলে ধরতে। ২২তম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মোসাদ্দেক খেলেন ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। ৩১ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ১ ছক্কা।

ছবি: এসিসি

পাওয়ার প্লেতে করা ৩ ওভারের প্রতিটিতেই উইকেটের উল্লাস করেন মুজিব। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বাঁহাতি নাঈম ফেরেন সাজঘরে। তার ব্যাট-প্যাডের মাঝের বিশাল ফাঁক গলে মুজিবের ডেলিভারি আঘাত করে স্টাম্পে। ৮ বলে নাঈমের রান ৬। ধুঁকতে থাকা এনামুলকে রিভিউ নিয়ে ফেরায় আফগানিস্তান। পুল করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। ১৪ বলে ৫ রান আসে এনামুলের ব্যাট থেকে। দুই ওপেনারই ভুগছিলেন আত্মবিশ্বাসের অভাবে, ছিলেন নড়বড়ে।

ষষ্ঠ ওভারে মুজিবের তৃতীয় শিকার হন ক্যারিয়ারের শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা সাকিব। স্মরণীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে সফল হননি তিনি। শুরু থেকে ইতিবাচক দেখালেও জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যারম বলে বোল্ড হয়ে তিনি মাঠ ছাড়েন। পেসার নাভিন উল হককে পরপর ২ চার মারা সাকিব আউট হন ৯ বলে ১১ করে।

ছবি: এসিসি

রশিদ বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য বরাবরই আতঙ্কের অপর নাম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে বল হাতে নিয়েই গুগলিতে এলবিডব্লিউ করে তিনি বিদায় করেন মুশফিককে। এবারও আম্পায়ার প্রথমে জোরালো আবেদনে আঙুল তোলেননি। পরে আফগান দলনেতা মোহাম্মদ নবি রিভিউ নিলে পাল্টে যায় সিদ্ধান্ত। মুশফিকের সংগ্রহ ৪ বলে ১ রান। পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিলেন আফিফ ও মাহমুদউল্লাহ। তবে তাদেরকে বেশিদূর এগোতে দেননি রশিদ। আরেকটি গুগলিতে আফিফকে ঝুলিতে পোরেন তিনি। ১৫ বল খেলা আফিফের রান ১২।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বাকি গল্পটা মোসাদ্দেকের। ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৩১ বলে ৩৬ ও সপ্তম উইকেটে শেখ মেহেদীর সঙ্গে ২৪ বলে ৩৮ রান যোগ করেন তিনি। তাতে দলটির সংগ্রহ শঙ্কা কাটিয়ে পেরোয় একশ। ক্রিজে অনেক সময় কাটিয়ে ফেলা মাহমুদউল্লাহকে হাত খুলতে দেখা যায়নি। তার ২৭ বলে ২৫ রানের ইনিংস থামে ডিপ মিডউইকেটে রশিদের বলে ইব্রাহিম জাদরানকে ক্যাচ দিয়ে। শেষ ওভারে রানআউট হন শেখ মেহেদী। তিনি করেন ১২ বলে ১৪ রান।

অন্য ব্যাটাররা যখন খাবি খাচ্ছিলেন, তখন মোসাদ্দেক করেন টি-টোয়েন্টিসুলভ ব্যাটিং। ফলে শেষ ৫ ওভারে আসে ৪০ রান। এই সংস্করণে মোসাদ্দেকের আগের সেরা ছিল অপরাজিত ৩৪ রান। তবে এবারও হাফসেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তার।

Comments

The Daily Star  | English
Americans on Israel and Palestine

Most Americans believe countries should recognise Palestinian state

The survey was taken amid hopes that Israel and Hamas would agree on a ceasefire

2h ago