লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে

তিস্তা
লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ গ্রামে তিস্তা নদীর পানি বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বাড়ি-ঘরে প্রবেশ করছে। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

অবিরাম বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে গিয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৬টা থেকে তিস্তার পানি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসা অব্যাহত থাকায় রাতে তিস্তার পানি আরও বাড়তে পারে।

হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ মিটার ৬০ সেন্টিমিটার উল্লেখ করে তিনি জানান, এ পয়েন্টে নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

জেলা প্রশাসন ও পাউবো সূত্র জানায়, তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে। বাড়ি-ঘরে নদীর পানি প্রবেশ করছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের ফসলের খেত।

তিস্তা
লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ গ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

এ অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দারা গবাদি পশু ও আসবাবপত্র নিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিচ্ছেন। 

হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী গ্রামের কৃষক মোসলেম উদ্দিন (৬৫) ডেইলি স্টারকে জানান, তাদের বাড়িতে নদীর পানি ঢুকে পড়েছে। ফসলের খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। চরের অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।

তিনি বলেন, 'রাতে তিস্তার পানি আরও বেড়ে গেলে চরের অধিকাংশ মানুষকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিতে হবে। নদীর পানি ২-৩ দিনের মধ্যে নেমে গেলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না।'

বন্যা পরিস্থিতি ৫-৬ দিন স্থায়ী হলে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে তিনি জানান।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ গ্রামের কৃষক দিলবর হোসেন (৫৮) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘরের ভেতর ৩-৪ ফুট পানি প্রবেশ করেছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছি।'

যোগাযোগ করা হলে লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন ডেইলি স্টারকে জানান, তারা তিস্তাপাড়ের মানুষদের খোঁজখবর রাখছেন। স্বেচ্ছাসেবকরা নৌকা নিয়ে দুর্গত এলাকায় কাজ করছেন। 

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে মানুষ, গবাদি পশু ও আসবাবপত্র নিরাপদে আনতে স্বেচ্ছাসেবকরা সহযোগিতা করছেন বলে জানান তিনি। 

Comments

The Daily Star  | English
Hilsa fish production in Bangladesh

Hilsa: From full nets to lighter hauls

This year, fishermen have been returning with lesser catches and bigger losses.

12h ago