রিজওয়ানের খেলার ধরন নিয়ে ওয়াসিম-ইনজামামের তর্ক 

Mohammad Rizwan
ছবি: আইসিসি

ওপেন করতে নেমে থিতু হতে কিছুটা সময় নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। অনেকটা সময় পার করলে রয়েসয়ে খেলেন বড় শট, ইনিংস করেন লম্বা। ছোট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এবং ছোট লক্ষ্যে এভাবে খেলে সফল হলেও বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বড় রানের চ্যালেঞ্জে তা নিয়ে আছে প্রশ্ন। ওয়াসিম আকরাম রিজওয়ান খেলার ধরণ নিয়ে করেছেন তুমুল সমালোচনা। তবে তার এক সময়ের সতীর্থ ইনজামাম উল হক আবার ওয়াসিমের ভাবনার তীব্র বিরোধিতা করেছেন। 

এবার এশিয়া কাপে পাকিস্তানের হয়ে দুই ম্যাচেই রান পেয়েছেন রিজওয়ান। ভারতের বিপক্ষে তিনি করেন ৪২ বলে ৪৩ রান। হংকংয়ের বিপক্ষেও একই ধারায় খেলে পরে রান বাড়িয়ে করেন ৫৭ বলে ৭৮ রান। 

ভারতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে ১৪৮ রান করে পেরে উঠেনি পাকিস্তান। হংকংয়ের বিপক্ষে খুশদিল শাহ শেষ দিকে ১৫ বলে ৩৫ করলে পাকিস্তান যায় দুশোর কাছে। রিজওয়ান পুরো কুড়ি ওভার টিকলেও খুশদিল ঝড় না তুললে ১৭০ রানের আশেপাশে থাকত পাকস্তান।

পাকিস্তানের একটি টেলিভিশনে এই ব্যাপারে আলোচনায় রিজওয়ানের খেলার ধরন নিয়ে সমালোচনা করেন ওয়াসিম,  'রিজওয়ানের এরকম খেলার মানে হয় না। যদি বড় শট মারার চেষ্টাও আউটও হয়ে যেত সমস্যা ছিল না। পরের দিকে আসিফ, ইফতেখার, নওয়াজ, শাদাবরা ছিল। ওরা খেলার সুযোগই পেল না। এই সংস্করণে ৫৭ বলে ৭৫ করার কোন মানে নেই। এভাবে টিকে খেলা দলের লাভ নেই।' 

'টি-টোয়েন্টিতে প্রথম থেকেই মারতে হবে। এক প্রান্ত ধরে রাখলে চএল না। হংকং আর ভারত তো এক হবে না। এরকম রক্ষণশীল মানসিকতা নিয়ে ব্যাট করলে হবে না।' 

তবে ওয়াসিমের এমন মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন ইনজামাম। তার মতে প্রথম তিন ব্যাটারেরই উচিত ১২-১৩ ওভার অন্তত পার করে দেওয়া। বাকিরা সারবেন শেষটা, 'আকরাম ভাই রিজওয়ান বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হতে বলছেন। এই কথার সঙ্গে একমত নই। আমি মনে করি প্রথম তিনজন ব্যাটারকে ১২-১৩ ওভার খেলতে হবে। এরপর বাকিদের রান করতে হবে। নির্দিষ্ট একটা পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে অবে। বড় শট খেলতে গিয়ে কেউ আউট হতে চায় না, সবাই বড় রান করতে চায়। কাউকে এভাবে আউট হতে বলা ঠিক না।' 

ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরে আজ আবার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। রিজওয়ানের উপর বড় ভরসা থাকবে বাবর আজমের দলের।

Comments

The Daily Star  | English
political reform in Bangladesh

Pathways to a new political order

The prospects for change are not without hope in Bangladesh.

10h ago