নিজের ঘটনা মনে করিয়ে আর্শদীপের পাশে দাঁড়াচ্ছেন কোহলি

Arshdeep Singh & Virat Kohli

মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ নাওয়াজ ঝড় তুলে ফিরে যাওয়ার পরও ম্যাচ জেতার সুযোগ এসেছিল ভারতের। আসিফ আলিকে জীবন দিয়ে সেই সুযোগ হেলায় হাতছাড়া করেন আর্শদীপ সিং। তবে তরুণ এই ক্রিকেটারের মানসিক অবস্থায় পাশে দাঁড়াচ্ছেন বিরাট কোহলি। তার ক্যারিয়ারের শুরুর একটি ঘটনায় স্মরণ করেছেন তিনি।

তখন চলছিল ১৮তম ওভারের খেলা। ১৮২ রান তাড়ায় ম্যাচ জিততে পাকিস্তানের ১৮ বলে চাই ৩৫। লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণুই ওই ওভারে তৈরি করেন প্রবল চাপ। তাতে উইকেটও এসে যাচ্ছিল।

প্রথম বল ওয়াইড করার পর দেন একটি ডট বল। দ্বিতীয় বলে এক রান নিয়ে আসিফকে স্ট্রাইক দেন খুশদিল শাহ। সেই বলটিও হয় ওয়াইড। লেগ স্টাম্পের বাইরে ঘুরাতে গিয়ে কট বিহাইন্ডেরও অবশ্য সম্ভাবনা জেগেছিল। বৈধ তৃতীয় বলটিতে আসে দারুণ সুযোগ। বিষ্ণুইকে উড়াতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় হয়ে যায় আসিফের। সহজ ক্যাচ যাব শর্ট থার্ড ম্যানে। জায়গায় দাঁড়িয়ে সেই ক্যাচ হাতে জমিয়েও ফেলে দেন আর্শদীপ।

শূন্য রানে জীবন পেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে ৮ বলে ১৬ করে বসেন আসিফ। পাকিস্তান জিতে যায় ১ বল আগে। বল হাতে শেষ ওভারে আর্শদীপ অবশ্য প্রাণপণে চেষ্টা চালিয়েও পারেননি।

ভারতের হারের অনেক কারণের মাঝে আর্শদীপের ক্যাচ হাতছাড়াকে দেখা হচ্ছে বড় করে। তবে এই ম্যাচে ৪৪ বলে ৬০ রান করা কোহলি তরুণ পেসারকে দিচ্ছেন ভরসা। জানিয়ে দেন তাকে ভিলেন বানানোর পক্ষে নয় ভারতীয় দল। বরং মনে করেন তার নিজেরও একটি ঘটনা,  'চাপের মধ্যে যেকেউ ভুল করতে পারে। এরকম একটা বড় ম্যাচ, এত কঠিন পরিস্থিতি। আমার মনে আছে একবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলছিলাম, শহিদ আফ্রিদির বলে একটা বাজে শট মেরে আউট হই। ওইদিন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত জেগেছিলাম। শুধু ছাদের দিকে তাকাচ্ছিলাম, ঘুম আসছিল না। মনে হয়েছিল আর কোনদিন সুযোগ পাব না। ক্যারিয়ার বুঝি শেষ।'

কোহলির মতে ভারতীয় ক্রিকেট দলে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত থাকার পরিবেশ আর নেই, 'আমাদের দলের পরিবেশ এখন অনেক ভাল। কাল সবাই আমার একসঙ্গে বসে হাসাহাসি করব। সেটাতে আর্শদীপও চাপমুক্ত হবে। আমাদের দল যেভাবে এখন পরিচালিত হয় তাতে কেউই ব্যর্থতায় নিমজ্জিত হয় না। সবাই উদ্যম নিয়ে ফেরত আসে। আবার সুযোগ এলে নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দেবে সে।'

Comments

The Daily Star  | English
political reform in Bangladesh

Pathways to a new political order

The prospects for change are not without hope in Bangladesh.

10h ago