কখনোই বার্সেলোনা ছাড়তে চাননি দেম্বেলে

গত মৌসুম জুড়ে প্রায় নিয়মিতই শিরোনাম হতেন উসমান দেম্বেলে। প্রসঙ্গ একটাই, বার্সেলোনায় নতুন চুক্তি নিয়ে দেন-দরবার। কিন্তু তা হয়ে উঠছিল না। এক সময় বার্সেলোনা তো তার সঙ্গে আলোচনাই বন্ধ করে দেয়। অনেক ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগের খবর আসে। শেষ পর্যন্ত চলতি মৌসুমের শুরুতে নতুন করে বার্সার সঙ্গেই চুক্তি করেন তিনি। তবে কখনোই কাতালান ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছা ছিল না বলেই জানান এ ফরাসি তরুণ।

মূলত বার্সেলোনার সঙ্গে বেতন-ভাতা নিয়ে ঝামেলা চলছিল দেম্বেলের। আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে তাকে কিছু কম বেতন নেওয়ার আহ্বান জানায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সেখানে কম বেতন তো দূরের কথা আগের চেয়ে আরও বেশি বেতন দাবি করেন তার এজেন্ট। এ নিয়ে নানা আলোচনার পর এক সময় চুক্তি থেকে সরে আসে বার্সা। পরে ক্লাবের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করে বিষয়টির সুরাহা করেন দেম্বেলে। ৪০ শতাংশ বেতন কম নিয়ে নতুন করে দুই বছরের চুক্তি করেন তিনি।

সম্প্রতি স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দিপোর্তিভোর সঙ্গে এ সকল বিষয় নিয়ে বিশদ এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন দেম্বেলে। সেখানে উঠে আসে নানা প্রসঙ্গ। বার্সেলোনা ছাড়ার চেষ্টার কথা উঠতেই বলেন, 'এমন (অন্য দলের সঙ্গে মৌখিক চুক্তি) কিছুই ছিল না। আমি শুরু বার্সার সঙ্গে কথা বলেছি। এবং আমার মুখপাত্রকে বলেছি শুধু বার্সা নিয়ে কথা বলতে এবং শেষ পর্যন্ত আমরা সবাই খুশি।'

মূলত বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজের কারণেই বার্সেলোনায় টাকার ইচ্ছাটা বাড়ে দেম্বেলের। এ কোচের অধীনে শুরু থেকেই দারুণ খেলছেন এ তরুণ, 'জাভি আসার পর আমি বার্সেলোনায় আমার সেরা সময়ের মধ্যে আছি। জাভির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। সে সবসময় সত্য কথা বলে এবং আমাকে অনেক সমর্থন করে। জাভি আমাকে বলছিল আমি অনেক ভালো খেলোয়াড় কিন্তু আমার মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। এখন আমার মানসিকতায় পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে।'

নেইমার দল ছাড়ার পর ২০১৭ সালে তড়িঘড়ি করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ১২০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে দেম্বেলেকে কিনে আনে বার্সেলোনা। তবে তার সুফল খুব একটা ভোগ করতে পারেনি ক্লাবটি। শুরু থেকেই একের পর এক ইনজুরিতে পরে ক্যারিয়ারই শেষের পথে ছিল দেম্বেলের। তবে কোচ জাভি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বদলে যেতে শুরু করেন তিনি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী জাভির অধীনে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছেন দেম্বেলেই।

অথচ শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণেও এক সময় প্রায় নিয়মিত শিরোনাম হতেন এই ফরাসি। অনুশীলনে ঠিকঠাক উপস্থিত না হয়ে জরিমানাও গুনেছেন অনেক বার। এখন অনেকটাই সুশৃঙ্খল। নিজের উন্নতিটা ভালোভাবেই টের পেতে শুরু করেছেন, 'যখন আমার বয়স কম ছিল, আমি নিয়মিত ইনজুরিতে পড়ছিলাম কারণ আমি এখনকার মত পরিশ্রম তখন করিনি। আমি এটা আগে বুঝতেই পারিনি। শুধুমাত্র প্রতিভাই যথেষ্ট না, মাঠে এবং মাঠের বাইরে কঠোর পরিশ্রম, অনুশীলন করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Election in Bangladesh

Why are we trying to make the election uncertain?

Those who are working to prevent the election should question themselves as to how the people will be empowered without one.

8h ago