রাজাপাকশের ব্যাটে শ্রীলঙ্কার দারুণ পুঁজি

ঘণ্টায় ১৪২ কিলোমিটার গতির বলে দারুণ ইনসুইং। স্টাম্প উড়িয়ে নেয় কুশল মেন্ডিসের। লঙ্কান শিবিরে প্রথম ধাক্কাটা দেন সেই নাসিম শাহ। সে ধারা ধরে রেখে হারিস রউফও তোপ দাগান। তাতে শ্রীলঙ্কার শুরুটা হয় বিবর্ণ। কিন্তু এক প্রান্তে বুক চিতিয়ে লড়াই করেন ভানুকা রাজাপাকশে। তুলে নেন অসাধারণ এক ফিফটি। সঙ্গী হিসেবে পান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে। তাতে দারুণ পুঁজিই পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।

ঘণ্টায় ১৪২ কিলোমিটার গতির বলে দারুণ ইনসুইং। স্টাম্প উড়িয়ে নেয় কুশল মেন্ডিসের। লঙ্কান শিবিরে প্রথম ধাক্কাটা দেন সেই নাসিম শাহ। সে ধারা ধরে রেখে হারিস রউফও তোপ দাগান। তাতে শ্রীলঙ্কার শুরুটা হয় বিবর্ণ। কিন্তু এক প্রান্তে বুক চিতিয়ে লড়াই করেন ভানুকা রাজাপাকশে। তুলে নেন অসাধারণ এক ফিফটি। সঙ্গী হিসেবে পান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে। তাতে দারুণ পুঁজিই পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।

রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ফাইনালে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭০ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ জিততে হলে ১৭১ রান করতে হবে পাকিস্তানকে।

এবারের আসরে প্রায় প্রতি ম্যাচে বড় ভূমিকা রেখেছে টস। টস হার মানেই যেন ম্যাচ হার। আগে ব্যাট করে পর্যাপ্ত রান সংগ্রহই কঠিন হয়ে যায় দলগুলোর জন্য। এদিনের শুরুটাও এমনই ছিল। তবে শুরুতে মেন্ডিসকে হারানোর শ্রীলঙ্কার হয়ে লড়াইয়ের আভাসটা দেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। মোহাম্মদ হাসনাইনের করা পরের ওভারে মারেন দুটি বাউন্ডারি। নাসিমের করা তৃতীয় ওভারে একটি বাউন্ডারি মেরে পাথুম নিসাঙ্কাও যোগ দেন তার সঙ্গে।

বড় ক্ষতি করার আগেই এ জুটি ভাঙেন রউফ। আকাশে উড়িয়ে মিডঅফে ক্যাচ তুলে দেন নিসাঙ্কা। কিন্তু ধনাঞ্জয়া ছিলেন সাবলীল। নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে রানের গতি সচল রাখেন লঙ্কান দলের সহ-অধিনায়ক। তবে অপর প্রান্তে কেউ সেট হতে পারছিলেন না। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফিরে রউফ এবার বোল্ড করে দেন দানুস্কা গুনাথিলাকাকে।

গুনাথিলাকাকে আউট করার চার বল পর ভানুকা রাজাপাকশের উইকেট পেতে পারতেন রউফ। পাকিস্তানের নেওয়া রিভিউতে দেখা যায় মিলিমিটারের মতো ব্যবধানের কারণে আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান এ ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ৪২ রানে লঙ্কানদের আটকে রাখতে সমর্থ হয় পাকিস্তান।

পাওয়ার প্লে শেষে তো বড় ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। তাও আবার ধাক্কাটা দেন পার্টটাইম স্পিনার ইফতেখার আহমেদ। বাঁহাতি রাজাপাকশের কথা ভেবেই হয়তো এ অফস্পিনারকে এনেছিলেন বাবর। তবে উইকেটে সেট হয়ে হুমকি হয়ে দাঁড়ানো ধনাঞ্জয়াকে ফিরিয়ে দেন ইফতেখার। ব্যক্তিগত ২৮ রানে ড্রাইভ করতে গিয়ে বোলারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ধনাঞ্জয়া। তাতে বড় চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তাদের চাপটা আরও বাড়িয়ে দেন শাদাব খান। পরের ওভারে বোল্ড করে দেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে।

এরপর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন রাজাপাকশে। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়ে চাপ সামলে নেন এ দুই ব্যাটার। একই সঙ্গে নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে রানের গতিও সচল রাখার চেষ্টা চালান তারা। হাসারাঙ্গাকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন রউফ। পেছনে দিকে সরে গিয়ে ব্যাট চালাতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। একই ঢঙ্গে ব্যাট চালিয়ে আগের দুই বলে টানা দুটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন তিনি। ২১ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৬ রান করেন হাসারাঙ্গা।

হাসারাঙ্গাকে ফেরাতে পারলেও রানের গতিতে লাগাম পরাতে পারেনি পাকিস্তান। এরপর চামিকা করুনারাত্নেকে নিয়ে দলের হাল ধরেন রাজাপাকশে। অবিচ্ছিন্ন থেকে ৫৪ রানের আরও একটি জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। যার সিংহভাগই আসে রাজাপাকশের ব্যাট থেকে। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন করুনারাত্নে। পাকিস্তানের পক্ষে ২৯ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন রউফ।

Comments

The Daily Star  | English

History of student protests in the USA

American campuses -- home to some of the best and most prestigious universities in the world where numerous world leaders in politics and academia have spent their early years -- have a potent history of student movements that lead to drastic change

5h ago