বিশ্বকাপের দল ঘোষণায় মাহমুদউল্লাহকে ঘিরে কৌতূহল
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বেশিরভাগ সদস্যের নাম যেকেউ বলে দিতে পারেন। দুই-তিনটি জায়গা নিয়েই আছে সংশয়। তারমধ্যে মাহমুদউল্লাহর দলে থাকা, না থাকা নিয়েই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আজ দুপুরে দল ঘোষণায় অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারেরও রূপরেখা স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে।
বুধবার দল ঘোষণার সিদ্ধান্ত থাকায় মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যান বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার সঙ্গে সভায় বসেন দুই নির্বাচক, টিম ডিরেক্টর, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান ও নতুন টেকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীধরন শ্রীরাম। জানা গেছে, সেই সভাতেই চূড়ান্ত হয়ে গেছে বিশ্বকাপের দল।
যদিও সভা থেকে বেরিয়ে দল নিয়ে কোন ধারনাই নেই বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি। মূলত সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে তৈরি হওয়া সংশয়ের কারণে আগাম কিছু বলা থেকে বিরত থাকেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১২১টি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা থাকা মাহমুদউল্লাহ লম্বা সময় ধরেই অফ ফর্মে। ছন্দহীন এই ব্যাটারকে তবু খেলানো হয় এশিয়া কাপে। সেখানেও তার পারফরম্যান্স ছিল হতাশার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৭ বলে ২৫, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২২ বলে ২৭ করেছিলেন। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের ভাষায় যা প্রত্যাশার কাছাকাছি নয়।
মন্থর স্ট্রাইকরেট, স্লগ ওভারের চাহিদা মেটাতে না পারায় ৩৭ বছরের মাহমুদউল্লাহ গত বিশ্বকাপ থেকেই প্রশ্নের মুখে। কিন্তু অধিনায়ক থাকায় তিনি খেলে যাচ্ছিলেন। গত জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাকে বাধ্যতামূলক বিশ্রামে রেখে নতুন দল পাঠায় বিসিবি। যদিও ওই সিরিজের শেষ ম্যাচটায় নাটকীয়ভাবে খেলানোও হয় তাকে।
সাকিব আল হাসান নেতৃত্ব নেওয়ায় এশিয়া কাপেই নতুন কিছুর আভাস ছিল। সেটা না হলেও এশিয়া কাপের পর মুশফিকুর রহিমের অবসর মাহমুদউল্লাহর ভবিষ্যতকে করে দেয় অস্পষ্ট। দলের নতুন পরামর্শক শ্রীরামও মাহমুদউল্লাহর খেলার ধরনে সন্তুষ্ট নন।
বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে এগুতে যাচ্ছেন তারা। সেই লক্ষ্যে মাহমুদউল্লাহর জায়গা পাওয়াটা আসলে কঠিন। বিসিবি সভাপতি এও জানিয়েছেন, মাহমুদউল্লাহ যদি অবসর নিতে চান তাহলে মাঠ থেকে তাকে অবসরের সম্মান দিতে চায় বিসিবি।
বিশ্বকাপ স্কোয়াডে না থাকলে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের এক ম্যাচ খেলিয়ে মাহমুদউল্লাহকে অবসরের সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলেও গুঞ্জন আছে। অবশ্য তা মাহমুদউল্লাহর উপরই নির্ভর করছে।
লিটন দাসের পাশাপাশি ওপেনার হিসেবে বিশ্বকাপ দলে কে থাকবেন তা নিয়েও কৌতূহল আছে। এশিয়া কাপে মেইক শিফট ওপেনার হিসেবে খেলেছিলেন সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। একই ভূমিকায় না হলেও বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাদের থাকার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। সেক্ষেত্রে বাদ পড়বেন এনামুল হক বিজয়। পারভেজ হোসেন ইমন, নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকারের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়া হবে তৃতীয় ওপেনার হিসেবে।
বাদ বাকি জায়গাগুলো নিয়ে তেমন সংশয় নেই। যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় খেলা স্পিনারদের ভূমিকা থাকবে সীমিত। নাসুম আহমেদ বা শেখ মেহেদী এই দুজনের একজনকে রাখা হতে পারে। পাঁচ পেসারের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ নিশ্চিত। ইবাদত হোসেন, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও শরিফুল ইসলামের মধ্যে বেছে নেওয়া হবে যেকোনো দুজনকে।
বুধবার দুপুর আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলন করে ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দল জানিয়ে দেবে বিসিবি।
Comments