‘আ. লীগ সরকার আসার আগে কে এত কথা বলার সুযোগ পেয়েছে’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: টিভি থেকে নেওয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'এখন আপনারা টকশো করেন, যে যার মতো কথা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার আগে কে এত কথা বলার সুযোগ পেয়েছে?'

সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আজ বুধবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

'আওয়ামী লীগ একটানা ক্ষমতায় আছে, দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে' উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, '৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর বারবার ক্যু হচ্ছিল। একজন মিলিটারি ডিক্টেটরের পর আরেকটা মিলিটারি ডিক্টেটর অথবা ডিক্টেটরের স্ত্রী ক্ষমতা নিয়ে গেল ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে। জনগণের কী ছিল তখন? জনগণের কি আদৌ কোনো অধিকার ছিল। সারারাত কারফিউ, কথা বলা অধিকার নেই। সাদা মাইক্রোবাসে কে কখন গায়েব হয়ে যেত, এই তো ছিল বাংলাদেশের অবস্থা।'

তিনি বলেন, 'এখন আপনারা টকশো করেন, যে যার মতো কথা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার আগে কে এত কথা বলার সুযোগ পেয়েছে? পায়নি। একটা টেলিভিশন, একটা রেডিও। কোথায় টকশো, আর কোথায় মিস্টি কথা? কথা বলার তো কোনো অধিকার ছিল না।' 

'এখন সব কথা বলার পর বলে কথা বলার অধিকার নেই। এটাও শুনতে হয়। আজকে রাস্তায় অন্দোলন। জনগণ সাড়া না দিলে, সেটা তো আমাদের দায়িত্ব না। আওয়ামী লীগ যে বিএনপির হাতে নির্যাতিত, সেটা কি ভুলে গেছেন,' যোগ করেন তিনি।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ভবিষ্যৎ নির্বাচনে কে কোথায় থাকবে সেটা সময় বলে দেবে। আওয়ামী লীগ উদারভাবে কাজ করে, আওয়ামী লীগের দরজা খোলা। আমরা সরকারে আসার পর থেকে দেশের উন্নয়ন করতে পেরেছি।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়নের সবকিছু গ্রাম পর্যায় থেকে। করোনার সময় আমরা গ্রামে প্রচুর অর্থ সরবরাহ করেছি। মানুষ যেন কোনোভাবে কষ্ট না পায়, সেই চেষ্টা করেছি। অবশ্যই জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে, এটা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যদি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চান। আর না চাইলে তো কিছু করার নেই, সেটা জনগণের ইচ্ছা।' 

তিনি বলেন, 'নির্বাচনে যারা সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিল, তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। যে কোনো নির্বাচনে নমিনেশনে পরিবর্তন তো খুব স্বাভাবিক বিষয়। অবশ্যই আমরা যাচাই করে দেখব কার জেতার সম্ভাবনা আছে, কার নেই। আমাদের বেশ কিছু নিবেদিতপ্রাণ কর্মী আছেন বয়োবৃদ্ধ হয়ে গেছেন, তাদের আর কষ্ট দিতে চাই না। এটা নির্বাচনকে সামনে রেখে, কে ভোট পাবে বা না পাবে, জিতবে কি না, সবকিছু বিবেচনা করে নির্বাচনে যাওয়া হয়।' 

নির্বাচনের প্রায় ১ বছরের বেশি সময় বাকি আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সময় যত যাবে, ততই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। আমাদের সঙ্গে কে থাকবে না থাকবে, বা নতুন জোট হবে হোক, অসুবিধা নেই। সবাই নির্বাচনে পার্টিসিপেট করুক, সেটাই আমরা চাই। আর যদি কেউ না করে, সেটা যার যার দলের সিদ্ধান্ত। এখানে আমরা সংবিধান তো বন্ধ করে রাখতে পারি না। সংবিধানের ধারা অনুযায়ী, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক।' 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগের ওপর তো সবাই চড়াও হয়েছে। লাশ টানতে টানতে আর আহতদের চিকিৎসা করাতে করাতে নাভিশ্বাস উঠেছিল আমাদের। আজ তো সেই পরিবেশ নেই।'

Comments

The Daily Star  | English

Child rape cases rise nearly 75% in 7 months

Child rape cases in Bangladesh have surged by nearly 75 percent in the first seven months of 2025 compared to the same period last year, according to data from Ain o Salish Kendra (ASK).

1h ago