গাজীপুর পুলিশ লাইনসে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে আবু হেনা রনিসহ দগ্ধ ৫

দগ্ধ আবু হেনা রনিকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনসে গাজীপুর মেট্রেপিলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন।

জিএমপি'র কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামের সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রফিকুল ইসলাম বলেন, 'গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে আহত আবু হেনা রনি, মোশাররফ হোসেন, জিল্লুর রহমান, ইমরান হোসেন এবং রুবেল হোসেনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে আবু হেনা রনি, মোশাররফ হোসেন, জিল্লুর রহমানকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দগ্ধ হয়েছেন আবু হেনা রনি। তার শরীরের ২৫-৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অন্য দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।'

জিএমপি'র সহকারী কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন বলেন, 'মঞ্চের পূর্ব পাশেই ওড়ানোর জন্য কিছু গ্যাস বেলুন রাখা ছিল। প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পরও সেগুলো ওড়াতে ব্যর্থ হন। কোনো ত্রুটির কারণে হয়তোবা বেলুনগুলো তিনি ওড়াতে পারেননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের দিকে চলে যান। পরে অবিস্ফোরিত বেলুনগুলো উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে সবগুলো বেলুন বিস্ফোরিত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।'

কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির ম্যানেজার সাদিক আল হাসান জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটনের ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলেন রনি। সেখানে গ্যাস বেলুন থেকে একটি বিস্ফোরণ হয়। তখন পাশেই দাড়িয়ে থাকা রনিসহ আরও কয়েকজন পুলিশ কনস্টেবল দগ্ধ হন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, রনির শরীরের ২৪ শতাংশ ও জিল্লুর রহমানের আনুমানিক ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক না হলেও দগ্ধের পরিমাণ অনেকটা বেশি। এজন্য তাদেরকে ভর্তি রেখে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

1h ago