নোয়াখালীতে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আটক ৩
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ঘরে ঢুকে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সুধারম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৩জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।'
পুলিশ ও নিহত শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানায়, ২০১৪ সালে আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা নিহত হন। তার মা স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটি ও টিউশন শেষে সন্ধ্যা ৭টায় তিনি বাসায় ফিরে দরজা বন্ধ পান। পরে জানালায় উঁকি মেরে বিছানার ওপর শিক্ষার্থীর গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
খবর দেওয়া হলে সন্ধ্যা ৭টায় সুধারাম মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি ও মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, 'প্রতিবেশী সাঈদ (২০) প্রায়ই ওই শিক্ষার্থীকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো ও প্রেমের প্রস্তাব দিতো। সে ওই শিক্ষার্থীকে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছিল। স্থানীয়দের কাছে বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ ও ডিবি তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে সাঈদসহ ৩ জনকে আটক করেছে। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডি যৌথভাবে কাজ করছে।'
Comments