গ্রিসে ‘বাংলাদেশের সুর’ শিল্প প্রদর্শনী

এথেন্সে ‘বাংলাদেশের সুর’ শিরোনামে চিত্র প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ । ছবি: সংগৃহীত

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে 'বাংলাদেশের সুর' (টিউন অব বাংলাদেশ) শিরোনামে তিন দিন ব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এথেন্সের সাইচিকোর মিউনিসিপ্যাল আর্ট গ্যালারি লেফায় ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি ১৩ জন শিল্পীর চিত্রকর্ম নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আসা চিত্রশিল্পীরাও।

শিল্পীরা হলেন-কেয়া সুলতানা, সুলতানুল ইসলাম, দিলরুবা লতিফ, সঞ্জীব দাস অপু, মর্জিয়া বেগম, রিফাত জাহান কান্তা, মুক্তি ভৌমিক, শাহীন সোবহানা সুরভী, মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, নাজমুন আকতার কাকলী, জিনাত জুরফিকার ছবি, জান্নাত কেয়া ও হাসুরা আকতার রুমকী।

বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রদর্শনীর আয়োজন করে এথেন্স দূতাবাস।

প্রদর্শনী উদ্বোধনী করেন সাইচিকোর ডেপুটি মেয়র এলেনি জেপাউ এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ।

গ্রিসের এথেন্সে ‘বাংলাদেশের সুর’ প্রদর্শনী বাংলাদেশি ১৩ শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়। ছবি: সংগৃহীত

এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বাংলাদেশের শিল্প ও চিত্রকলার একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে এবং এ ধরনের প্রদর্শনী গ্রিক শিল্পপ্রেমীদের তা জানার সুযোগ দেবে।'

গ্রিসে ভারতের রাষ্ট্রদূত অমৃত লুগুন, প্রদর্শনীর কিউরেটর ও ইতিহাসবিদ এলিসাভেট গেরোলিমাটোস, ইলাইনেপা-এর সভাপতি অধ্যাপক দিমিত্রিস ভ্যাসিলিয়াদিস এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকসহ আরও অনেকই প্রদর্শনীতে এসেছিলেন।

এ উপলক্ষে এথেন্সে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বাংলাদেশের শিল্পীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গ্রিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদের সঙ্গে বাংলাদেশি শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- এথেন্স স্কুল অফ ফাইন আর্টসের রেক্টর প্রফেসর নিকোস ট্রানোস, ইউনেস্কো পাইরাস অ্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের গ্রুপের সভাপতি আইওনিস ম্যারোনাইটিস এর ইলাইনেপার সভাপতি অধ্যাপক ড. দিমিত্রিওস ভ্যাসিলিয়াদিসসহ বাংলাদেশের বন্ধুরা।

এ ছাড়া বাংলাদেশি শিল্পীদের গ্রিস সফর উপলক্ষে এথেন্স স্কুল অফ ফাইন আর্টসে একটি চিত্রকর্ম কর্মশালায় আয়োজন করা হয়।

ক্লাব ফর ইউনেস্কো পাইরাস আয়োজিত প্রথম ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকশন আর্ট-এ বাংলাদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে হয় সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক অনুষ্ঠান। 

লেখক: গ্রিসপ্রবাসী সাংবাদিক

Comments