আফিফের ফিফটিতে বাংলাদেশের ১৫৮ রানের পুঁজি

Afif Hossain
আফিফ হোসেন। ফাইল ছবি: সংগ্রহ

টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় শুরুতেই বিপাকে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষেও কেঁপে উঠছিল ব্যাটিং অর্ডার। বিপদে পড়া দলকে দারুণ ইনিংসে উদ্ধার করলেন আফিফ হোসেন। দুবার জীবন পাওয়ার সুযোগ কাজে লাগালেন ঝড়ো ইনিংসে। তার ব্যাটেই মূলত দেড়শো ছাড়ানো পুঁজি পেয়েছে সফরকারীরা।

রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং পেয়ে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৫৫ বলে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন আফিফ। টি-টোয়েন্টিতে এটিই আফিফের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। এর আগের সর্বোচ্চ ছিল ৫২ রান। 

টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে শুরুটা একদম ভালো হয়নি বাংলাদেশের। পেস বলে বরাবরের মতো অস্বস্তি দেখা যাচ্ছিল মেহেদী হাসান মিরাজের। তবে তার বেশ আগেই ফেরেন সাব্বির রহমান।

এশিয়া কাপে ফেরার ম্যাচে এক চার মেরেই আউট হয়েছিলেন। এবার আর রানের খাতা খোলা হয়নি। দ্বিতীয় ওভারে সাবির আলির বলে ঠিকমতো পুল করতে পারেননি। উপরের কানায় লেগে ক্যাচ যায় মিড উইকেটে। ৩ বল খেলে খালি হাতে ফেরেন সাব্বির।

তিনে নেমে লিটন শুরুতেই ছিলেন রানের খোঁজে। দ্রুত পেয়ে যান একাধিক বাউন্ডারি। বাঁহাতি স্পিনার আয়ান খানকে স্লগ সুইপে তৃতীয় বাউন্ডারি মেরে দুই অঙ্কে চলে গিয়েছিলেন দ্রুত। কিন্তু ভালো কিছুর আভাস দিতেই নিভেছেন তিনি। আয়ানের বলে স্লগ সুইপে ছক্কার চেষ্টায় লিটন সহজ ক্যাচ তুলে দেন।

ধুঁকতে থাকা মিরাজ কাট করে একটা বাউন্ডারি পেলেও পেস সামলানো মুশকিল হচ্ছিল তার। জাওয়ার ফরিদের বলে এগিয়ে এসে পুল করতে গিয়ে পুরো ব্যাটে নিতে পারেননি। টপ এজ হয়ে বোলারের হাতেই যায় ক্যাচ। ১৪ বল খুইয়ে ১২ রান করেন মিরাজ। ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ পাওয়ার প্লের আগেই হারাতে পারত আফিফকেও। সাবিরের বলে পুল করে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। ফিল্ডার সেই ক্যাচ রাখতে না পারলে জীবন পান তিনি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলে  ৪২ রান।

পাওয়ার প্লের পরও চলে ভোগান্তি। লম্বা সময় পর দলে ফেরা ইয়াসির আলি বোল্ড হয়ে যান লেগ স্পিনার কার্তিক মেইয়াপ্পনের বলে। অষ্টম ওভারে ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিকহারা দলকে দিশা দেন আফিফ। ব্যক্তিগত ৬ রানে জীবন পাওয়া এই বাঁহাতির অভিপ্রায় ছিল ইতিবাচক, ব্যাট ছিল সাবলীল।

পঞ্চম উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে জুটিতে ২৩ বলে আনেন ৩০। যাতে ১৫ বলে ২৬ রানই তার। এশিয়া কাপে ভালো করা মোসাদ্দেক এদিন ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। কয়েকটি ডট বলে চাপ বাড়ান নিজের উপর। পরে মেইয়াপ্পনকে বেরিয়ে উড়াতে গিয়ে হন স্টাম্পিং। ৮ বলে স্রেফ ৩ রান করেন তিনি।

আফিফ সামলেছেন পরেও। ৩৮ বলে তিনি পেয়ে যান তৃতীয় ফিফটি। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান নেমে বলে-ব্যাটে করতে পারছিলেন না। ডট বলের চাপ বাড়ছিল তারও। মেইয়াপ্পনকে এক ছক্কায় উড়িয়ে কিছুটা পুষান।

ফিফটি পেরিয়ে দুর্বার হয় আফিফের ব্যাট। জুনায়েদ সিদ্দিকিকে চার-ছয়ে উড়ান। ৬৩ রানে ফরিদের বলে আবার জীবন দিয়েছিলেন, সেই ক্যাচও রাখতে পারেননি আমিরাতের ফিল্ডার।

শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশ যোগ করে আরও ২৪ রান। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা মারা সোহান অপরাজিত ছিলেন ২৫ বলে ৩৫ রানে।

Comments

The Daily Star  | English
What’s in the new budget?

Budget to set 10 priorities

Govt puts inflation control, revenue reform, fiscal restraint at the heart of its economic plan

9h ago