আমিরাতের বিপক্ষে কঠিন জয়েও টাইগারদের স্বস্তি

শক্তিমত্তা কিংবা অভিজ্ঞতা, সবকিছুতেই অনেক পিছিয়ে ছিল আরব আমিরাত। কিন্তু সেই দলটির বিপক্ষে জয় পেতে খেলতে হয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত। হারের শঙ্কাও ছিল। দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গেও এমন জয়ের পর স্বস্তির কথাই জানালেন বাংলাদেশ দলের অন্যতম অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্বাগতিকদের ৭ রানে হারায় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান তোলে টাইগাররা। জবাবে ২ বল বাকি থাকতে ১৫১ পর্যন্ত যেতে পারে আমিরাত।

মূলত ডেথ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামদের অসাধারণ বোলিংয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। অন্যথায় ম্যাচে জয়ের পথেই ছিল আমিরাত। শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে চিরাগ সুরি কাজটা প্রায় কঠিন করে দিয়েছিলেন। মিরাজের কণ্ঠে উঠে এ ব্যাপারটাই। এমন ম্যাচে টাইগারদের হারের নজির অনেক। চাপে ভেঙে না পড়ে জয় পাওয়াকেই বড় করে দেখছেন এ অলরাউন্ডার।

'আমাদের যে জিনিসটা দরকার ছিল যে কীভাবে একটা ম্যাচ জিততে হবে এরকম চাপের মুহূর্তে। কারণ, এর আগে আমরা এমন ম্যাচ অনেক হেরেছি। সুতরাং এ জিনিসটা আমাদের দরকার ছিল। এই জিনিসগুলো, ছোট জিনিস এসব নিয়েও কথা বলা হয়েছে,' স্বস্তি প্রকাশ করে এমনটাই বলেন মিরাজ।

'আমাদের একটা জয় খুব দরকার ছিল। কারণ, গত কয়েকটা সিরিজে, এশিয়া কাপে আমরা কাছে গিয়ে হেরেছি, জিততে জিততে হেরে গেছি। কালকের পরিস্থিতি ওরকমই ছিল। কিন্তু আমাদের বোলাররা খুব ভালো কামব্যাক করেছে। এটা সবার ভেতরে বিশ্বকাপের জন্য আলাদা আত্মবিশ্বাস জোগাবে,' যোগ করেন এ অলরাউন্ডার।

দ্বিতীয় ম্যাচে আরও ভালো কিছু করার প্রত্যাশা করছেন মিরাজ, 'দেখেন আমরা এখানে একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি, বিশ্বকাপের ভালো প্রস্তুতির লক্ষ্য। সে জন্য আমরা এখানে লাস্ট ২-৩ দিন অনুশীলন করেছি, একটা ম্যাচ খেলেছি। আমাদের ছোট ছোট যে ভুলগুলো ছিল আগে, সে ভুলের পরিমাণ যেন কমিয়ে আনতে পারি সেটাই আমরা চেষ্টা করছি। পরের ম্যাচেও তাই প্রয়োগ করতে চাইবো।'

আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আরব আমিরাতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

Comments

The Daily Star  | English
ACC finds Nagad corruption evidence

ACC raids Nagad HQ over hiring controversy

"During the drive, the ACC team found initial evidence of irregularities in the recruitment process"

43m ago