৮ বছর পুরনো তিক্ত স্মৃতি তাড়া করেছিল বাংলাদেশকে!

Nigar Sultana Joty
নিগার শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেননি, পারেনি বাংলাদেশ।

বৃষ্টির পর ডিএলএস মেথডে লক্ষ্যের হিসেব  বুঝে পেয়েই বাংলাদেশ দল ফিরে গিয়েছিল ৮ বছর আগে। ২০১৪ সালে এশিয়ান গেমসের ফাইনালে পাকিস্তানের  প্রায় একই রকম একটা সমীকরণ সেবার মেলাতে পারেননি তারা। এবার ভিন্ন কিছু করতে চাইলেও তিক্ত স্মৃতিই শেষ পর্যন্ত কাবু করল তাদের। পেসার জাহানারা আলমের কথা থেকে জানা গেল তেমনটাই।

মেয়েদের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গেলেও  সেমিফাইনালের সম্ভাবনা এখনো বাংলাদেশের বেশ উজ্জ্বলই আছে। মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারালেই শেষ চারের দেখা পাবেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা।

কিন্তু সেমিতে যেতে পারলেও লঙ্কানদের কাছে চরম ব্যাটিং ধসের হার অস্বস্তি দিবে নিশ্চিতভাবে। ম্যাচ জিততে ৭ ওভারে দরকার ছিল ৪১ রান, হাতে সবগুলো উইকেট। শেষ দুই ওভারে জিততে হলে করতে হতো স্রেফ ১৪ রান। তখনো হাতে ৮ উইকেট।

Jahanara Alam

এই অবস্থায় এক ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে গিয়ে আর ম্যাচ জিততে পারল না স্বাগতিকরা। ম্যাচ শেষে কথা বলতে এসে জাহানারা জানান, লক্ষ্য দেখেই দক্ষিণ কোরিয়ার ইনসেনে এশিয়ান গেমসের হারের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল তাদের,  'যখন লক্ষ্যটা ঠিক হয় তখন নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিলাম, কিছুটা পুনরাবৃত্তি হয়ত হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ইনসনে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে (এশিয়ান গেমসে) ৪২ বলে ৪৩ রানের লক্ষ্য ছিল। এবং ওটা হেরে রোপা পেয়েছিলাম, সোনা হাতছাড়া করেছিলাম। আজকের ম্যাচটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা হতাশা বলাই চলে, আমরা খুব আফসেট।'

আগের না পারা তাড়া করলেও এবার সেটা বদলাতে চেয়েছিলেন বলে জানান জাহানারা,  'আমাদের ভাইবটা পজিটিভ ছিল। আমরা বলছিলাম যে এটা দ্বিতীয়বারের মতো হচ্ছে, এবার আমরা হাতছাড়া করব না। আজ জিতে ফিরব।'

'এটা সহজ লক্ষ্য ছিল আমাদের ব্যাটারদের জন্য। আমরা যে পর্যায়ে পৌঁছেছি তবে সত্যিই হতাশার ছিল।'

৪২ বলে ৪১ রান করতে হলে খুব আগ্রাসী খেলারও দরকার ছিল না, এক-দুই রান করে এগুলেও ম্যাচ থাকত নাগালে। কিন্তু পরিকল্পনাহীন ব্যাটিংয়ে অনেকগুলো ডটবল খেলে ফেলেন ব্যাটাররা। হারের কারণ মনে করেন সেটাই,  'আমাদের লক্ষ্য ছিল বলে বলে রান নিব, সিঙ্গেল মিস করব না। আমরা খুব ক্লোজ নিব খেলাটা। তারপর হিট করব। কারণ তখন টার্গেট বেশি থাকবে না। আমরা যদি সিঙ্গেলগুলি নিতে থাকবে তাহলে সহজ হয়ে যেত।'

Comments

The Daily Star  | English

‘There’s no fish there’

Fishermen in Bhola borrow to celebrate Eid amid Hilsa crisis

55m ago