পাকিস্তানের বিপক্ষে দেখা যেতে পারে নতুন ওপেনিং জুটি

ত্রিদেশীয় সিরিজে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। আর এই তিন ম্যাচে তিনটি ভিন্ন উদ্বোধনী জুটি দেখেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচেও আসতে পারে নতুন কম্বিনেশন। এমন আভাসই দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।

ত্রিদেশীয় সিরিজে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। আর এই তিন ম্যাচে তিনটি ভিন্ন উদ্বোধনী জুটি দেখেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচেও আসতে পারে নতুন কম্বিনেশন। এমন আভাসই দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।

বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটি নিয়ে শেষবারের মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষার আভাস দিলেন ডোনাল্ড, 'আমি শুধু ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলেছি। নতুন বলে ওপেনিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক ম্যাচআপ ব্যবহার করেছি আমরা। ওপরের সারির চার ব্যাটসম্যানকে অনেক অদলবদল (মিক্সিং) করেছি। এখন শ্রীরাম অনেক কম্বিনেশন দেখছে। যেখানে তাকে নিখুঁত হতে হবে। বিশেষ করে আগামীকাল শেষবারের মতো দেখবে তার কী করা উচিত এই কাজের জন্য সঠিক লোক খুঁজে বের করার জন্য।'

'এটি কখনোই সহজ কাজ নয়। কোচ হিসেবে ওপরে বসে আপনি কখনও নিশ্চিতভাবে বলতে পারবেন না কোন কম্বিনেশনটা সঠিক। তবে আমি নিশ্চিত, এরই মধ্যে সে সঠিক জুটি খুঁজে পেয়েছে। অনেকেই বলে কতদিন এভাবে 'ট্রায়াল এন্ড এরর' চলবে? কিন্তু কোচ হিসেবে আপনাকে এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে সমাধান বের করার জন্য। হেড কোচ হিসেবে তার সেই জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার কথা,' যোগ করেন ডোনাল্ড।

তবে কাজটা যে সহজ নয় তাও জানালেন এ প্রোটিয়া কোচ, 'আমি মোটামুটি নিশ্চিত সে (শ্রীরাম) প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। তবে আমি এ ব্যাপারে নাক গলাতে চাই না। আমি বোলারদের দেখভালই করি বোলিং কোচ হিসেবে। আমি জানি, এটি সহজ কাজ নয়। কারণ আপনি নিখুঁত হতে চাইবেন, আত্মবিশ্বাসী হতে চাইবেন। এ কারণে বিশ্বকাপের দল বেছে নেওয়া সহজ নয়। সেটি বিশ্বের সব দলের জন্যই।'

মূলত অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এতো উলট পালট ব্যাটিং লাইনআপে। কিন্তু বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হয়ে কোন দুই জন ওপেনিং করবেন তা এখনও নির্ধারণ করতে পারেনি ম্যানেজমেন্ট। পাকিস্তানের বিপক্ষে তাই শেষ বারের মতো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হতে পারে।

তবে শুধু এ সিরিজেই নয়, গত বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত খেলা মতো ২৬ টি-টোয়েন্টিতে ১৪টি ভিন্ন উদ্বোধনী জুটি খেলিয়েছে বাংলাদেশ। আর এই পজিশনে খেলেছেন ১১ জন ভিন্ন ব্যাটার! তারপরও একটি জুটি থেকেও মিলেনি ফিফটি। সর্বোচ্চ ৪০ রান। ত্রিশ ছাড়িয়েছে মাত্র তিন ম্যাচে।

মাঝে মেকশিফট ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমানকে দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে। তবে লাভ হয়নি। তাই নিয়মিত ব্যাটারদের মাঝেই সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে ম্যানেজমেন্ট।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago