হারের মাঝেও ইতিবাচক দিক দেখছেন সাকিব
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই জমানো যায়নি। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ খেলা নিতে পেরেছে শেষ ওভারে। আলগা বোলিং আর বাজে ফিল্ডিং না হলে ফল হতে পারত ভিন্ন। কাছে গিয়েও আরেকটি হারের হতাশা আড়াল করে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দেখছেন কিছু ইতিবাচক দিক।
ক্রাইস্টচার্চে বৃহস্পতিবার সকালের প্রথম ভাগটা ছিল সাকিব ও লিটন দাসের ব্যাটে ঝলমল। দুজনের আগ্রাসী ফিফটিতে দল পেয়েছিল ১৭৩ রানের পুঁজি। যা এক বল আগে পেরিয়ে ৭ উইকেটে জিতে যায় পাকিস্তান।
আগে ব্যাটিং বেছে লিটনের ৪২ বলে ৬৯ ও সাকিবের ৪২ বলে ৬৮ রানে ১৯তম ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১৭০। কিন্তু শেষ ওভারে আসে আর স্রেফ ৩ রান। এই অবস্থা থেকে আরেকটু বেশি রানের আক্ষেপ অধিনায়কের, 'কঠিন ছিল সিরিজ। তবে আজ আমরা আমাদের সেরা খেলাটা খেলেছি এই সিরিজের। শেষ ওভারে আমরা আরও বেশি রান করতে পারতাম। যে অবস্থায় ছিলাম সেখান থেকে আরও বেশি হতে পারত।'
আক্ষেপের জায়গাটা বললেও ইতিবাচক দিকই বেশি দেখছেন অধিনায়ক। যেহেতু এটা বিশ্বকাপ প্রস্তুতির টুর্নামেন্ট। এখান থেকে প্রক্রিয়া, পরিকল্পনা ও ঘাটতির জায়গা পূরণ করতে পারাই তার কাছে তৃপ্তির, আমরা মাঝের ওভারে ভাল খেলেছি, যেটার ঘাটতি ছিল আগে। এটা আমাদের সামনে বিশ্বকাপে ভাল খেলতে সাহায্য করবে। ওই অবস্থা থেকে আরও কিছু রান হতে পারত কিন্তু খেলার আগে কেউ যদি ১৭৩ রানের কথা বলত, , তাহলে আমি সানন্দেই তা নিতাম। বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় আমরা পরিষ্কার আছি। এটা ভাল দিক।'
আগের দিন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব করেন ৪৪ বলে ৭০, এবার পাকিস্তানের সঙ্গে করলেন ৪২ বলে ৬৮। তবে বোলিংটা তার হচ্ছে না ঠিকঠাক। আগের দিন বল হাতে ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। এদিন ৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে পাননি উইকেটের দেখা। ব্যাটিং বেশ ভালো গেলেও নিজের বোলিংয়ে খুশি নন সাকিব, 'আমার কাজ হচ্ছে দলের জন্য রান করা। আমার বোলিং খুব ভাল হচ্ছে না। যেখানটায় উন্নতি করতে হবে। আমরা অনেক উন্নতি করেছি এই টুর্নামেন্টে সেটা সবচেয়ে ইতিবাচক দিক।'
Comments