ফেনীতে মাকে বেঁধে মেয়েকে ধর্ষণ, ১৯ বছর পর গ্রেপ্তার আসামি

ফেনীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার লতু মিয়াকে নিয়ে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর সোনাগাজীতে ২০০৩ সালে মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ১৯ বছর ধরে পলাতক ছিলেন এক আসামি। গত রাতে ঢাকার মেরুল বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গত জুলাই মাসে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত এই আসামির নাম আলি নবী ওরফে লাতু মিয়া (৫৫)। তার বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার নাজিরপুর গ্রামে। আদালত ফাঁসির রায় দেওয়ার পর ঢাকায় একটি মাজারে আত্মগোপন করেছিলেন তিনি।

গ্রেপ্তারের পর লতু মিয়াকে নিয়ে আজ ঢাকার কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে র‍্যাব। সেখানে র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৩ সালের ১৩ মে রাতে সোনাগাজীর নবাবপুর ইউনিয়নের একটি বাড়িতে ওই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘরের দরজা ভেঙে বিধবা মাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পরদিন সোনাগাজী থানায় মো. ফারুক, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কাশেম ও মো. লাতু মিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ১৯ বছর পর গত ১৪ জুলাই আদালত জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কাশেম ও মো. লাতু মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

তিনি জানান, লাতু মিয়ার কোনো পেশা নেই। তিনি নিরক্ষর। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চুরি, ডাকাতিসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন তিনি। তার নামে ফুলগাজী থানায় একটি ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগসহ তিনটি মামলা আছে।

র‍্যাব জানায়, ২০০৩ সালে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার পর লতু মিয়ার পলাতক জীবন শুরু হয়। এর পর তিনি চট্টগ্রামে গিয়ে রিকশা চালাতে শুরু করেন। এরপর তিনি চুরি ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়েন। একটি ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খাটেন। জামিনে বের হয়ে তিনি গোপনে তার বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাসায় অতিথি হিসেবে জীবন যাপন করতেন। তিনি মাঝে মাঝে তার বাড়িতে এসে গোপনে তার স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে দেখা করে অর্থ নিয়ে যেতেন। এরপর তিনি কিছুদিন সিলেটে মাজার এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। একপর্যায়ে ঢাকায় এসে ফুটপাতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির ব্যবসা করেন। পরে তিনি দারোয়ানের চাকরি নেন। পলাতক জীবনে তিনি নিজেকে অলি নবী হিসেবে পরিচয় দিতেন।

Comments

The Daily Star  | English
10-bed ICU

Life-saving care hampered in 25 govt hospitals

Intensive Care Units at 25 public hospitals across the country have remained non-functional or partially operational over the last few months largely due to a manpower crisis, depriving many critically ill patients of life-saving care.

7h ago