বান্দরবানে আটক জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কাওছার ২ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়

রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় র‌্যাবের অভিযানে আটক নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্য কাওছার আহমেদ ওরফে শিশির ২ বছর আগে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপার হারুন্দিয়া গ্রামে। 
বান্দরবানে আটক জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কাওছার ২ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়
কাওছার আহমেদ ওরফে শিশির। ছবি: সংগৃহীত

রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় র‌্যাবের অভিযানে আটক নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্য কাওছার আহমেদ ওরফে শিশির ২ বছর আগে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপার হারুন্দিয়া গ্রামে। 

কাওছারের মা ঝর্ণা খাতুন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ২ বছর ধরে আমার বড় ছেলে কাওছারের কোনো খোঁজ পাইনি। নিরুদ্দেশের পর স্থানীয় থানায় জিডি করতে গেলে তার কোনো ছবি না থাকায় থানায় জিডি হয়নি। অনেক খোঁজাখুজির পর তাকে না পেয়ে আমরা ধারণা করেছিলাম সে বোধহয় কোথাও মারা গেছে।'

পরিবার জানায়, ২০০২ সালে এসএসসি পরীক্ষা অকৃতকার্য হয় কাওছার। এরপর ঢাকাতে পোশাক কারখানায় চাকরি নেন তিনি। সেখানে বেশ কিছুদিন চাকরি করার পর বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে গরু পালন ও কৃষিকাজ শুরু করেন। স্থানীয় গাড়াগঞ্জ বাজারে কিছুদিন লেপ তোশকের ব্যবসাও করেছেন। পরে ঝিনাইদহ শহরের এক আত্মিয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন।

কাওছারের ভাই কেরামত আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তারা তিন ভাই ও ৫ বোন। কাওছার সবার বড়। ২০২০ সালের দিকে সে নিরুদ্দেশ হয়। এরপর পরিবারের কারো সঙ্গে সে আর কোনো যোগাযোগ রাখে নি।'

পরিবার জানায়, কাওছারের প্রথম স্ত্রী সন্তান প্রসবের সময় মারা গেলে এরপর তিনি ঝিনাইদহ শহরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেখানে ১৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তার। এরপর চট্রগ্রামে আরেকটি বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু স্বামীর কোনো খোঁজ না পেয়ে ১ বছর আগে তিনি বাবার বাড়িতে চলে যান।

কাওছারের প্রতিবেশী আব্দুল মালেক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছোট থেকে কাওছার ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। কিন্তু সে হাফেজি পড়া শেষ করতে পারেনি। কাওছারের বাবা ২০১৪ সালে মারা যান। তার ছোট ভাই কেরামত আলী গাড়ীর ড্রাইভার ও সবার ছোট ভাই সোহরাব হোসেন কোরআনে হাফেজ।'

জানতে চাইলে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।'

Comments