নির্বাচনে হেরে টাকা ফেরত চান আ. লীগ নেতা

গাইবান্ধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সরদার। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে হেরে ভোট কেনার জন্য ভোটারদের দেওয়া টাকা ফেরত চাচ্ছেন ইলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সরদার।

আব্দুর রাজ্জাক সরদার জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইসলামপুর উপজেলা (৩ নম্বর ওয়ার্ড) থেকে সদস্য প্রার্থী ছিলেন। এর আগে ২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দলীয় পদ হারান তিনি।

গত ১৭ অক্টোবর আব্দুর রাজ্জাক সরদার জেলা পরিষদ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৭১ ভোটের মধ্যে ৪৮ ভোট পান।

আব্দুর রাজ্জাক সরদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেতার জন্য ২৭১ সদস্যের মধ্যে ৯৮ জনকে ৩০ হাজার এবং কাউকে ৫০ হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে। কিন্তু জয় পাইনি। তাই টাকা ফেরত চাচ্ছি। নির্বাচনে আমার সব মিলিয়ে ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।'

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রাজ্জাক চরগোয়ালিনী ও চরপুটিমারী ইউনিয়নের ভোটারদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কাছে টাকা ফেরত চেয়েছেন।

টাকা ফেরত না দিলে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন বলেও অনেকে অভিযোগ করেন।

চরপুটিমারী ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলাউদ্দিন আল আজাদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নির্বাচনে অনেকেই টাকা দেন, তিনিও দিয়েছেন। আমরাও নিয়েছি এবং তাকে ভোটও দিয়েছি। কে ভোট দিয়েছে, কে দেয়নি তা আমরা জানি না।'

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইসলামপুরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আব্দুর রাজ্জাক। সেখানে ২টি বুথে ১৭১ জন ভোটার ছিল। তিনি ৪৮ ভোট পান। প্রতিপক্ষ ৬৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।

Comments

The Daily Star  | English

Interest payments, subsidies soak up almost half of budget

Interest payments and subsidies have absorbed nearly half of Bangladesh’s total budget expenditure in the first seven months of the current fiscal year, underscoring growing fiscal stress and raising concerns over public finances.

2h ago