চট্টগ্রামে ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট এক্সবিবি শনাক্ত

চবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের এনরিচ ল্যাবে জিনোম সিকোয়েন্স করে ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন ধরন এক্সবিবি শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রামের গত ৩ মাসের করোনা রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এই ধরন করা হয়েছে। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং, রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন ল্যাবরেটরিতে (এনরিচ) এই জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়। 

গবেষণায় আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামে বিএ ২ এবং বিএ ৫ এর আধিক্য দেখা গেলেও, অক্টোবর মাসের রোগীদের মধ্যে নতুন ভ্যারিয়েন্ট এক্সবিবির আধিক্য ও আরেকটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএম ১.১.১ এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

জিনোম সিকোয়েন্সিং করে অক্টোবর মাসের শতকরা ৬০ ভাগ রোগীর নমুনায় ওমিক্রনের এক্সবিবি এবং ৪০ ভাগ রোগীর বিএম ১.১.১ এর উপস্থিতি দেখা গেছে। 

এক্সবিবিতে আক্রান্ত সবাই বয়সে তরুণ এবং সবার বয়স ২০-৩৫ বছরের মধ্যে। 

এনরিচ ল্যাবে গবেষকরা। ছবি: সংগৃহীত

এক্সবিবি পৃথিবীর ১৭টি দেশে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ছড়িয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও হংকংয়ে বেশি ছড়িয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এক্সবিবি ওমিক্রনের অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ভ্যারিয়েন্টের  বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি কাজ করে না। 

ভ্যারিয়েন্টটি আগের বেশ কয়েকটি ভ্যারিয়েন্টের সংমিশ্রণে তৈরি বলে একে বলা হয় রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস। 

এটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে করোনার আরেকটি ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ভারতের জনস্বাস্থ্যবিদ ও অণুজীববিজ্ঞানীরা। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অণুজীববিজ্ঞানী ও  চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. সেঁজুতি সাহা এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান ড. নাজনিন নাহার ইসলাম। 

ডিজিজ বায়োলজি অ্যান্ড মলিকুলার এপিডেমিওলজি রিসার্চ গ্রুপের প্রধান ড. আদনান মান্নান এবং এনরিচ ল্যাবের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে এই সিকোয়েন্সিং কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন বিভাগের শিক্ষক ফারজানা শারমিন এবং শিক্ষার্থী কল্যাণ চাকমা, সাজ্জাদ হোসেন নয়ন, সবুজ বিশ্বাস, ফারহানা ইয়াসমিন, ফাহমিদা খানম, আল শাহরিয়ার আকাশ, আশিকুর আলিম, রুবেল আহমেদ, আফসানা ইয়াসমিন তানজিনা। 

সহযোগিতায় ছিল ঢাকার চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জিনোমিক্স রিসার্চ টিম। পৃষ্ঠপোষকতা করেছে সুইজারল্যান্ডের ফাইন্ড ডায়াগনস্টিক।

আগামী ১ বছর এই গবেষণাগারে সার্স কভ-২ এর জিনোম সিকোয়েন্স কার্যক্রম চলবে এবং নিয়মিতভাবে ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের কাজ চলবে। 

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares 3 new days for nat’l observance

The interim government yesterday declared August 5 as “July Mass Uprising Day” to commemorate the student-led protests that toppled the Sheikh Hasina regime that day last year.

1h ago