রাংনিকের দেওয়া হালান্ডকে কেনার পরামর্শ আমলে নেয়নি ইউনাইটেড

গোলবারের সামনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ডদের দৈন্যদশা যেন কাটছে না কিছুতেই। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচে মাত্র ১৬ গোল ইংলিশ জায়ান্টদের। পয়েন্ট টেবিলে তাদের নিচে থাকা ফুলহ্যাম ও লিভারপুলও করেছে ২২ গোল। তবে চিত্রটা ভিন্নও হতে পারতো। যদি গত মৌসুমের শেষভাগে ক্লাবটির দায়িত্বে সাবেক কোচ রালফ রাংনিকের কথামতো আর্লিং হালান্ড, দুসান ভ্লাহোভিচ বা ক্রিস্টোফার এনকুঙ্কুকে দলে টানতো দলটি।

২০২১-২২ মৌসুমে মাঠের হতশ্রী পারফরম্যান্সে ইউরোপের অন্যতম আলোচিত ক্লাব ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ওলে গানার সুলশার ও রাংনিকের অধীনে সেবার নিজেদের ইতিহাসের সবর্নিম্ন প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট (৫৮) নিয়ে মৌসুম শেষ করে রেড ডেভিলরা। আক্রমণভাগের দৈন্যতা কাটিয়ে ২০২২-২৩ মৌসুমে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন রাংনিক। তবে তার দেওয়া হালান্ড, ভ্লাহোভিচ ও এনকুঙ্কুকে ক্রয়ের পরামর্শ আমলে নেয়নি ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ।

ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়ে রীতিমতো গোলমেশিনে পরিণত হয়েছেন হালান্ড। লিগে মাত্র ১১ ম্যাচে ১৭ গোল করে ওঠাচ্ছেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের নাভিশ্বাস। ভ্লাহোভিচ (জুভেন্টাস) ও এনকুঙ্কুও (আরবি লাইপজিগ) যার যার ক্লাবের হয়ে কাটাচ্ছেন দারুণ সময়। সিরি আতে মাত্র ছয় ম্যাচ খেলে এরই মধ্যে দশবার জাল ছুঁয়ে ফেলেছেন ভ্লাহোভিচ। অন্যদিকে গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে ৫৫ গোলে সরাসরি অবদান রেখে (গোল করে বা করিয়ে) দলবদলে আরেক ইংলিশ ক্লাব চেলসির অন্যতম টার্গেট এখন এনকুঙ্কু।

সম্প্রতি জার্মান গণমাধ্যম বিআইএলডিকে আক্ষেপ করেই সাবেক ইউনাইটেড কোচ রাংনিক বলেন, 'এক রোববারে তারা আমাকে গ্রিনউডের সমস্যার (বান্ধবী পিটিয়ে নিষিদ্ধ) কথা জানালো। ততোদিনে মার্শিয়ালও (ধারে) বিদায় নিয়েছে। তিনটি প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য আমাদের স্ট্রাইকার প্রয়োজন ছিল। আমি বোর্ডকে বললাম কিছু খেলোয়াড় কেনার ব্যাপারে আমাদের ভেবে দেখা উচিত, তবে আমাকে না করে দেয় তারা।'

বাস্তবতা মেনেই হালান্ড-ভ্লাহোভিচ সহ বেশ কিছু নাম উল্লেখ করেছিলেন এই জার্মান কোচ, 'আমি বাস্তববাদী কিছু নাম নিয়েছিলাম তখন। যেমন জোস্কো গাভার্ডিওল ও আরবি লাইপজিগের ক্রিস্টোফার এনকুঙ্কু। অথবা আলভারো মোরাতা, লুইস ডিয়াজ, দুসান ভ্লাহোভিচ এবং আর্লিং হালান্ড, তখনও সে (দলবদলের) বাজারেই ছিল। ক্লাব সিদ্ধান্ত নিল অন্য একজন কোচের অধীনে স্কোয়াড পুনর্গঠনের।'

Comments

The Daily Star  | English

Doubts growing about interim govt’s capability to govern: Tarique

"If we observe recent developments, doubts are gradually growing among various sections of people and professionals for various reasons about the interim government's ability to carry out its duties."

3h ago