কক্সবাজারে অপহৃত ১১ রোহিঙ্গা উদ্ধার, আটক ৪

কক্সবাজারে অপহৃত ১১ রোহিঙ্গা উদ্ধার, আটক ৪
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে অপহৃত ১১ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে অপহৃত ১১ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন।

১৬ এপিবিএন এর আওতাধীন নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তা ক্যাম্পের পরিদর্শক রাজু আহমেদ জানান, বুধবার মধ্যরাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবির ও টেকনাফ সদরের মহেশখালিয়া পাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন উখিয়া উপজেলার ১৫ নম্বর জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুর রশিদ (৩৬), কুতুপালং বালুরমাঠ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোহাম্মদ আইয়ুব (২৬), শফিউল্লাহকাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আমির হোসেন (৩৪) ও টেকনাফ উপজেলার গোদাবিল গ্রামের রবিউল আলম (২০)।

এপিবিএন জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ১২ রোহিঙ্গার মধ্যে ১ নারী, ৫ শিশু ও ৫ যুবক রয়েছে। তারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

পরিদর্শক রাজু আহমেদ বলেন, 'টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক একটি সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে। চক্রটির সদস্যরা ক্যাম্প থেকে বিভিন্ন কৌশলে রোহিঙ্গাদের অপহরণ করে জিন্মি রেখে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। বুধবার মধ্যরাতে টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপহরণকারী চক্রের কয়েকজন সদস্য অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে এপিবিএন এর একটি দল অভিযান চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অপহরণকারী দলের ৫-৬ জন দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় ৪ জনকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।'

'বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফের মহেশখালিয়া পাড়ায় এপিবিএন এর আরেকটি দল অভিযান চালায়। এসময় পাহাড়ি এলাকায় অপহরণ করে মুক্তিপণের জন্য জিন্মি রাখা শিশুসহ ১১ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা ও আটক অপহরণকারীদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে,' বলেন তিনি।

উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের থানা পুলিশ স্ব-স্ব ক্যাম্প ইনচার্জের মাধ্যমে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেবে। গ্রেপ্তার অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম বলেন, 'আটক ৫ অপহরণকারীকে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago