‘রিজার্ভ নিয়ে বসে থাকলে হবে না, দেশের মানুষের জন্য খরচ করতে হবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাইল ছবি | সংগৃহীত

রিজার্ভের টাকা নিয়ে বসে থাকলে হবে না, দেশের মানুষের জন্য খরচ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৫৯টি জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বর্তমানে হঠাৎ একটা কথা এসেছে, রিজার্ভ, রিজার্ভ, রিজার্ভ। রিজার্ভের টাকা নাকি সব চুরি হয়ে গেছে। চুরিটা হয় কীভাবে? আমি ৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি, তার আগে বিএনপি ছিল। তখন কত টাকা রিজার্ভ ছিল, ২ দশমিক ৬ বা ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেটা আমরা বাড়িয়ে প্রায় ৩-৪ এ নিয়ে আসি। ২০০৮ এর নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন রিজার্ভ ছিল ৫ বিলিয়ন ডলার। এই ৫ বিলিয়ন থেকে আমরা প্রায় ৪৮ বিলিয়নের কাছাকাছি উঠাতে পেরেছি।'

'রিজার্ভের টাকাতো সব সময় খরচ হতে থাকে। করোনার সময় সব যোগাযোগ বন্ধ, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, কেউ যেতেও পারে না, আসতেও পারে না, কোনো আমদানি হয়নি। এই কারণেই রিজার্ভ জমা হয়। করোনা শেষে আমাদের বিনিয়োগ, ইন্ডাস্ট্রি তৈরি, এমনকি চাষবাসের জন্য যে বিভিন্ন যন্ত্র ক্রয়, সেগুলোর জন্য আমাদের টাকা খরচ করতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা, আমরা ভ্যাকসিন কিনেছি। যখন মাত্র রিসার্চ হচ্ছে, তখনই ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা জমা দিয়ে দিয়েছি, যাতে যেটাই সফল হয়, সেটা নিতে পারি, দেশের মানুষকে বাঁচাতে পারি। শুধু ভ্যাকসিন দিলে তো হয় না। সুঁই লাগে, আরও অনেক কিছু লাগে। সবকিছু আমদানি করতে হয়েছে। প্রয়োজনে প্লেন পাঠিয়ে আনিয়েছিলাম। তাতে টাকা খরচ হয়নি?', বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'এভাবে আমরা টাকা ব্যবহার করেছি মানুষের কল্যাণে। করোনা যেতে পারেনি, শুরু হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, তারপর স্যাংশন। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। চাল বলেন, গম বলেন, ভোজ্যতেল, জ্বালানি তেলের দাম এমনভাবে বেড়েছে গেছে...। শুধু যে পণ্যের দাম বেড়েছে, তাই নয়। পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। ২০০ ডলারে যে গম কিনতাম, সেটা এখন ৫০০ ডলারে কিনতে হয়। কিন্তু আমরা তো দেশের মানুষকে কষ্ট দিতে পারি না। যেখানে যত দামই লাগুক, আমরা কিনে নিয়ে আসছি, মানুষকে দিচ্ছি।'

'আমরা ৮ বিলিয়ন ডলার আলাদাভাবে বিনিয়োগ করেছি। আমাদের বিমানের ঝরঝরে অবস্থা ছিল। সব থেকে আধুনিক বিমান আমরা কিনেছি কয়েকটি। আমাদের টাকা, রিজার্ভের টাকা দিয়েই করেছি। এর জন্য অন্যের কাছ থেকে টাকা ধার নেইনি। কারণ সেখান থেকে ধার নিলেও সুদসহ শোধ দিতে হতো। এখন বিমান আমাদের টাকা শোধ দিচ্ছে, ২ শতাংশ সুদসহ আমরা টাকা ফেরত পাচ্ছি', বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'রপ্তানিতে আমরা প্রণোদনা দিচ্ছি। সেখানেও আমাদের লোকই লাভবান হচ্ছে। এভাবে আমরা ৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছি। এখন যেমন অতি বেশি মূল্য দিয়ে আমাকে খাদ্য কিনতে হচ্ছে, তেল কিনতে হচ্ছে, গ্যাস কিনতে হচ্ছে, সবই আনতে হচ্ছে। এখানে আমি টাকা নিয়ে বসে থাকলে তো হবে না। দেশের মানুষের জন্য খরচ করতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'যারা কথা বলে যে রিজার্ভ গেল কোথায়, তাদের জন্য বলতে চাই, বিএনপির নেতা তারেক জিয়ার সাজা হয়েছে কেন? অর্থপাচার মামলায় সাজা হয়েছে। এই মামলা কিন্তু আমাদের আবিষ্কার না, এটা করেছে আমেরিকা। আমেরিকার লোক এসে, এফবিআইয়ের লোক এসে বাংলাদেশে সাক্ষী দিয়ে গেছে। সেই মানি লন্ডারিং কেসে তার ৭ বছরের সাজা, ২০ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান একজন পুলিশ ধরেছে বলে তার ওপর অকথ্য অত্যাচার হয়েছিল। সেই মামলাতেও তার সাজা হয়েছে।'

'২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আমার তো বাঁচার কথা ছিল না। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ২২ জন মানুষ মারা গেছেন। যে গ্রেনেড যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহার হয়, সেই গ্রেনেড ব্যবহার করলো খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া মিলে আমার ওপর, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে র‌্যালি করছিলাম, সেই র‌্যালির ওপর। সংসদে আমাদের এ বিষয়ে কথা বলতে দেয়নি। উল্টো খালেদা জিয়া বলে দিলো, আমি নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে নিজেই গ্রেনেড মেরেছি। এই অপপ্রচার তারা চালিয়েছিল। তাদের চরিত্র অপপ্রচার চালানো। কিন্তু, মানুষ যেন বিভ্রান্ত না হয়', বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'গ্রেনেড হামলার মামলাতেও সে সাজাপ্রাপ্ত। একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ব্যক্তি একটি দলের নেতা হয় কী করে? তাদের গঠনতন্ত্রে আছে, সাজাপ্রাপ্ত আসামি দলের চেয়ারম্যান হতে পারবে না। কিন্তু তারা নিজেদের গঠনতন্ত্র নিজেরাই ভঙ্গ করে তাকে চেয়ারম্যান করে রেখে দিয়েছে।'

'খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট করেছে। সেখানে বিদেশ থেকে টাকা এসেছে। একটা টাকাও কোনো এতিম পায়নি। সব তার ব্যাংকে জমা। সেই কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা, সেই মামলায় সে সাজাপ্রাপ্ত। তার বোন এসেছে আমার কাছে, ভাই এসেছে, বোনের স্বামী এসেছে, তাদের অনুরোধে খালেদা জিয়ার সাজাটা স্থগিত করে আমি তাকে তার বাসায় থাকতে দিয়েছি। কিন্তু বলে রাখি, আমার বাবা-মা-ভাই সবাইকে হত্যার সঙ্গে জিয়া জড়িত, এটা স্পষ্ট। গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ আমাদের নেতা-কর্মীদের হত্যায় খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া জড়িত। আমরা কিন্তু মানুষের ওপর প্রতিশোধ নিতে যাইনি। ২০০১ এর নির্বাচনের পর যেভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ওভাবে কখনো তাদের ওপর আমরা করিনি। আমরা দেশ গড়ার কাজেই মনোনিবেশ করেছি', বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, 'কোকো যে টাকা পাচার করেছিল, সেটা আমরা ফেরত এনেছি। কাজেই দেখা যাচ্ছে, তারাই সব টাকা পাচার করেছে। তাহলে তারা অর্থ পাচারের কথা বলে কোন মুখে? সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের দল, তারা গাল ভরে বলতে পারে।'

বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার জন্য তিনি মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময় পেয়েছিলেন। এই সাড়ে ৩ বছর একটি জাতির জন্য কিছুই না। একটি প্রদেশকে রাষ্ট্রে উন্নীত করা, একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তিনি গড়ে তোলেন।'

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে বাংলাদেশের সেতু, রেলসেতু, কালভার্ট, বন্দর, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে প্রায় সব কিছু ধ্বংস হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তার ওপর প্রায় ১ কোটি মানুষ ভারতে শরণার্থী হয়েছিলেন। পাকিস্তানিরা গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল। ৩ কোটি মানুষ ছিল গৃহহারা, তখন আমাদের জনসংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি। কোনো যোগাযোগের ব্যবস্থাই ছিল না, একটা টাকাও রিজার্ভ ছিল না, কারেন্সি নোট ছিল না, গোলায় এক ফোঁটা খাদ্য ছিল না, যুদ্ধকালে কোনো ফসল ফলেনি। এমন একটি ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতা দেশ গড়ার কাজে মনোনিবেশ করেন।'

তিনি বলেন, 'মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে সারা দেশের রাস্তাঘাট মেরামত, পুরো দেশের ধ্বংসস্তূপকে ধীরে ধীরে গড়ে তোলার কাজ করেন তিনি। তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতারা কোথাও নৌকায় করে, কখনো পায়ে হেঁটে প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে রিলিফ পৌঁছে দেয়। শরণার্থীদের পুনর্বাসন, যুদ্ধাহতদের চিকিৎসা, শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। নির্যাতিতা মেয়েদের অনেকে অসুস্থ ছিলেন, অনেকে প্রেগন্যান্ট ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাদের জন্য বিশেষ ডাক্তার-নার্স নিয়ে আসেন সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে। তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন। এই শূন্য হাতের যাত্রা থেকে তিনি দেশটাকে গড়ে তোলেন, মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে আমরা স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা লাভ করি।'

তিনি আরও বলেন, 'তিনি চেয়েছিলেন ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষমতা পৌঁছে দিতে।'

প্রত্যেকটা এলাকায় কী কী সমস্যা আছে, মানুষের উন্নয়নে কী কী কাজ করা যায়, সেই বিষয়ে জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভাবতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র আছে। হয়তো অনেকে দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন, কেউ আলাদাভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে, যখন আপনি ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন, তখন আপনার দায়িত্ব সবার জন্য। আমি বলতে পারি, আমি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দেশের সার্বিক উন্নয়নের ব্যবস্থা নিয়েছি। কে আমাকে ভোট দিলো আর কোন এলাকায় আমার সংগঠন, সেটা দেখিনি।'

পল্লী উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগগুলো তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'রাজধানী ও গ্রামে বসবাসকারীদের জীবনে বৈষম্য থাক, সেটা আমি চাই না। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম, সেটা আমরা করেছি। দেশের একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড কানেকশন দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি, কাজেই ডিজিটাল সিস্টেম চালু হয়ে গেছে। মোবাইল ফোন বিএনপির আমলে তাদেরই এক মন্ত্রীর হাতে কুক্ষিগত ছিল। একটি মোবাইলের দাম ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ফোন ধরলে প্রতি মিনিট ১০ টাকা, ফোন করলে প্রতি মিনিট ১০ টাকা খরচ হতো। আমি সরকারে আসার পরে সবার হাতে হাতে যেন মোবাইল ফোন পৌঁছে যায়, সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।'

নাগরিক জীবনমান উন্নয়নে ৯ হাজার ৮৮ কিলোমিটার সড়ক-ফুটপাথ, ৪ হাজার ১০৭ কিলোমিটার ড্রেন, ১৫ হাজার ৪১ কিলোমিটার ব্রিজ-কালভার্ট, ৪১টি বাস ও ট্রাক টার্মিনাল, ৫৩টি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, '২০১৮ সালে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ঘোষণা দিয়েছিলাম, প্রতিটি গ্রামে মানুষ শহরের সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পাবে। তাই আমার গ্রাম, আমার শহর বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি।'

বাংলাদেশের মানুষকে এখন আর কেউ অবহেলার চেখে দেখে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আগে বাংলাদেশ মানে দুর্ভিক্ষের দেশ, ঘূর্ণিঝড়ের দেশ ইত্যাদি বলত। এখন আর সেটা কেউ বলতে পারে না। সেখান থেকে আমরা উত্তরণ ঘটিয়েছি। এখন বাংলাদেশ বললে আন্তর্জাতিক বিশ্ব বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে, বলে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এটাই বাস্তবতা।'

'আমরা ২০২১ এর লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়েছি। এখন ২০২১ থেকে ৪১ এর মধ্যে বাংলাদেশ কেমনভাবে সফল অর্জন করবে, সেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়েছি। এমনকি ২১০০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা করা হয়েছে। সবাই তো আর চিরদিন বাঁচে না, চিরদিন বাঁচবও না। কিন্তু একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির থাকতে হবে। সময়ের প্রয়োজনে সেগুলো পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু, একটি লক্ষ্যে স্থির থাকলে, তা অর্জন করা সম্ভব', বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য ফসল উৎপাদন। আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি, যাতে কৃষি জমির কোনো ক্ষতি না হয়। এখন ১৬ কোটি, সাড়ে ১৬ কোটির ওপরে আমাদের মানুষ। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে হবে। আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলতে চাই না। জাতির পিতা বলেছেন, ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা ভিক্ষুক জাতি হতে চাই না।'

'আমরা সেচ কাজের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির চেয়ে ভূউপরস্থ পানি ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। খাল, পুকুর পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং বৃষ্টির পানি ধরে রাখা ও ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছি। মনে রাখবেন, যত বেশি ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করব, বাংলাদেশে কিন্তু ভূমিকম্প হতে পারে। যদি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ঠিক না থাকে, তাহলে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে', যোগ করেন তিনি।

কৃষি যান্ত্রিকিকরণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে এবং এর জন্য প্রায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'সব সিটি, পৌরসভা, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পরিষদ নির্বাচন এখন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। এর আগে নির্বাচনের নামে কী ছিল, সেটা আপনারা জানেন। আমাদের নারী প্রতিনিধিরা আছেন এখানে। আমরা একজন করে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের কোটা রেখেছি। কারণ, নারী নেতৃত্ব উঠে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে, সমাজের অর্ধেকই তো নারী। তাদেরকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন হয় না।'

Comments

The Daily Star  | English

Life insurers mired in irregularities

One-fourth of the life insurance firms in the country are plagued with financial irregularities and mismanagement that have put the entire industry in danger.

6h ago