'রোনালদো কোচদের জন্য সমস্যা, সতীর্থদের বিপদে ফেলে'
পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। সরাসরি অভিযোগ করেছেন তার কোচদের উপর। বর্তমান কোচ এরিক টেন হাগ তো বটেই, ছাড় পাননি সাবেক দুই কোচ ওলে গানার সুলশার ও রালফ রাংনিকও। এমনকি ধুয়ে দিয়েছেন তার সাবেক সতীর্থদেরও। তাতে রীতিমতো উত্তাল ফুটবল বিশ্ব। আর এ সকল কারণে রোনালদোকেও এক হাত নিয়েছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা আন্তনিও কাসানো।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই ছন্দহীনতায় ভুগছেন রোনালদো। শুরুতে অবশ্য ম্যাচ খেলার সুযোগ মিলেনি খুব বেশি। পরে পেলেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তাই কোচ টেন হাগের দলে অনেকটাই অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন। তবে ক্লাবের ব্যর্থতা ভুলে নিজেকে ফিরে পেতে বর্তমানে রয়েছেন জাতীয় দলের তাঁবুতে। সেখানেও দেখা দিচ্ছে নানা জটিলতা। দুটি ভিন্ন ভিডিও ফুটেজে সতীর্থ ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও জোয়াও ক্যান্সেলোর দূরত্ব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যদিও এ নিয়ে রয়েছে ভিন্ন ব্যাখ্যাও।
কোনো বিষয়ই নজর এড়ায়নি কাসানোর। বোবো টিভির সঙ্গে আলাপকালে সে সকল বিষয় তুলে এনে এক পর্যায়ে বলেন, 'এখন আমি বলতেই পারি গত তিন বছর ধরে যে সে আর নিজের মধ্যে নেই তা স্বীকার করার সাহস নেই রোনালদোর। এই বছর তার স্পোর্টিং লিসবনে যোগ দেওয়া উচিত ছিল এবং বিশ্বকাপের পর ফুটবল থেকে বিদায় নেওয়া। সে এখন কোচদের জন্য একটি সমস্যা, এবং সে তার সতীর্থদের সমস্যায় ফেলে। সে এমনকি তার দীর্ঘদিনের সতীর্থ (করিম) বেনজেমাকে (ব্যালন ডি'অর জেতার জন্য) অভিনন্দন জানাতে ফোন করেননি।'
নিজের রেকর্ডকে আরও সমৃদ্ধ করতেই এ পর্তুগিজ খেলে যাচ্ছেন বলে মনে করেন কাসানো। রোনালদোকে তাই স্বার্থপর বলতেও দ্বিধাবোধ করেননি এ ইতালিয়ান, 'সে ক্ষেপে যেতে পারে না এবং মনে করতে পারে না যে সে এখনও উচ্চ স্তরে খেলতে পারবেন। তার এমন অসামঞ্জস্যপূর্ণ ইগো আছে। সে (লিওনেল) মেসির মতো নয় যে বসেও খেলতে পারেন। সে আর শারীরিকভাবে মানিয়ে নিতে পারছে না। সে এখন এটা বুঝিয়ে দিয়েছে যে সে সর্বদা তার স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়।'
কাতারে বিশ্বকাপে খেলা শেষ করে রোনালদোকে নিজের বুট জোড়া তুলে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কাসানো, 'সে তার চোখ বেঁধে রেখেছে এবং মনে করছে যে সে ৫০ বছর না হওয়া পর্যন্ত খেলতে পারবে। প্রিয় রোনালদো, আমি তোমাকে একটা কথা বলি: বিশ্বকাপ দিয়ে বড় হয়ে শেষ কর।'
Comments