স্মিথ-ওয়ার্নার-হেডের ঝাঁজে বৃথা গেল মালানের সেঞ্চুরি

টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর দাবিদ মালানের সেঞ্চুরিতে তিনশো কাছে পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। রান তাড়ায় ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রেভিস হেডের দারুণ শুরুর পর দলকে তীরে ভেড়ালেন স্টিভেন স্মিথ।
বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করে মালানের সেঞ্চুরিতে ২৮৭ রান করে ইংল্যান্ড। ১৯ বল আগে ওই রান পেরিয়ে জিতে যায় অজিরা। তিন ম্যাচ সিরিজে স্বাগতিকরা এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
২৮৮ রানের লক্ষ্যে উড়ন্ত শুরু আনেন ওয়ার্নার-হেড। টি-টোয়েন্টিতে বাজে ছন্দ পার করে ওয়ানডেতে নেমেই নিজেকে খুঁজে পান ওয়ার্নার। আরেক পাশে বাঁহাতি হেড তুলেন ঝড়। টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলতে থাকেন তিনি।
২০তম ওভারে ওপেনিং জুটি ভাঙার আগে ১৪৭ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ৫৭ বলে ৬৯ রান করে আউট হন হেড। পরে স্মিথকে নিয়েও আরেকটি জুটি পান ওয়ার্নার। ৫৩ রানের জুটির পর সেঞ্চুরির কাছে থাকা ওয়ার্নারকে ফেরান ডেভিড উইলি। ৮৪ বলে ৮৬ করে থামেন তিনি।
চারে নেমে মারনাশ লাবুশানেও দ্রুত ফিরে যান উইলির বলে। আলেক্স কেয়ারিকে (২৮ বলে ২১) নিয়েও এগিয়ে যান স্মিথ। লিয়াম ডসনের বলে কেয়ারি ফেরার পর স্মিথের সঙ্গে মিলে বাকি কাজ সারেন ক্যামেরন গ্রিন। (২৮ বলে ২০)। দলকে ম্যাচ জিতিয়ে ৭৮ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন স্মিথ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় ইংল্যান্ড। প্যাট কামিন্সের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফিল সল্ট। স্টার্ক বোল্ড করে দেন জেসন রয়কে। চারে নামা জো ভিন্সও পারেননি। ৬ বলে ৫ রান করা এই ব্যাটারকে আউট করেন কামিন্স। এরপর স্যাম বিলিংস, জস বাটলারের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন মালান। থিতু হয়েও ফিরে যান দুজনেও। এক পাশে টিকে একা রান বাড়াতে থাকেন মালান। ৮ম উইকেটে ডেভিড উইলির সঙ্গে ৫১ বলে ৬০ রানের জুটি পান মালান।
১২৮ বলে ১২ চার, ৪ ছক্কায় তার ১৩৪ রানের ইনিংস থামে ৪৬তম ওভারে। এরপর রান বাড়ানোর কাজটা করেছেন উইলি। ৪০ বলে ৩৪ করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তবে ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে এই রান যথেষ্ট ছিল না।
Comments